আগামিকালই দিল্লি যাচ্ছেন শতাব্দী, বিজেপিতে যোগ নিয়ে জল্পনা

0
52

উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ

শতাব্দী রায়কে নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ল। বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, আগামিকাল শনিবার দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। একইসঙ্গে দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও, জিইয়ে রাখলেন ধোঁয়াশা। শতাব্দী রায় বলেন, “অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলা বা না বলাটা বিরাট ব্যাপার নয়। আমি সাংসদ, উনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, দেখা করতেই পারি।” একইসঙ্গে শনিবার তিনি কী ঘোষণা করতে চলেছেন? ঘাসফুল ছেড়ে তিনিও কি এবার পদ্মশিবিরে নাম লেখাবেন? সেই বিষয়েও জল্পনা জিইয়ে রাখলেন। শতাব্দীর কথায়, “তার মানেই এটা নয় যে বিজেপিতে জয়েন করছি।” উল্লেখ্য, শুক্রবারই দিল্লি উড়ে গেছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ দুই নেতা।

shatabdi roy | newsfront.co
ফাইল চিত্র

ফেসবুকে ফ্যান পেজে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পর এদিন ফোনেও খোলাখুলি তাঁর অসন্তোষ ব্যক্ত করেন শতাব্দী রায়। তিনি বলেছেন, “আমার তো অতিরিক্ত কিছু চাওয়ার নেই। আমার ব্যক্তিগত আক্রমণও নেই। আমার শুধু একটাই কথা যে, আমাকে আমার প্রাপ্য সম্মানটুকু দেওয়া হোক। এখন আমার সমস্যা আমি বলেছি। আমি জানিয়েছি, আমার কাজটা করতে পারছি না। কারণ জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রশ্নের সম্মুখীন তো আমাকে হতে হবে। এখন দল যদি বলে দেয় যে, আমাকে কোনও প্রশ্ন করা হবে না, প্রশ্ন করা যাবে না, তাহলে অন্য কথা।”

তবে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বললেও সমস্যার সমাধান হবে কিনা, তা নিয়েও সন্দিহান তিনি। এমনকি কাল দিল্লি যাওয়ার আগে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন কিনা, সেবিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি সাংসদ। বলেন, “আমি এখনও ঠিক করিনি যে দলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলব কি বলব না।” প্রসঙ্গত, একের পর এক তৃণমূল সাংসদ বিধায়ক নেতৃত্বের ‘বেসুরো’ হওয়ার বিষয়েও দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশ্যেই বার্তা দিয়েছেন সাংসদ। তাঁর সাফ কথা, যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁরা তো দলের ভালোর জন্যই বলেছিলেন। অনেকে যখন একসঙ্গে বলছেন, তখন অভিযোগ খতিয়ে দেখা উচিত।

আরও পড়ুনঃ জরুরি তলব, তড়িঘড়ি দিল্লি যাত্রা দিলীপ – মুকুলের

উল্লেখ্য, ফের তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদের সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন শতাব্দী রায়। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা নতুন নয়। এর আগেও আমি ২ বার চিঠি দিয়েছি। আমার মনে হয়, ওই পর্ষদে কোনও মতামত বা সিদ্ধান্ত দেওয়া যায় না। ওই অবধি আলোচনা-ই পৌঁছয় না।” কিন্তু এবিষয়ে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে তিনি সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন কিনা, তা জিজ্ঞাসা করা হলে, প্রসঙ্গ খানিক এড়িয়েই যান সাংসদ। তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, “অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা হয়নি।” প্রসঙ্গত, বোলপুরে রোড শোয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই হাঁটতে দেখা গিয়েছিল সাংসদ শতাব্দীকে।

আরও পড়ুনঃ ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সংসদ, ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন নির্মলা সীতারমন

এদিকে তারপরই হঠাৎ বেসুরো হয়ে যান তিনি। যদিও এবিষয়ে শতাব্দীর সাফাই, “দিদির জন্যই আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম। দিদি ডেকেছিলেন, তাই গিয়েছিলাম। কিন্তু যেখানে আমাকে ডাকা-ই হচ্ছে না, ডাকা হবে না, সেখানে আমি কেন যাব।” অন্যদিকে, এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে শতাব্দী রায় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কার্যত এড়িয়ে যান সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। গত ৩ মাস যাবৎ তিনি ফেসবুক, সোশ্যাল মিডিয়া দেখেননি বলে জানান।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here