মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
জেলায় যখন প্রতিনিয়ত করোনা পজেটিভের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ঠিক তখনই পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অনশন আন্দোলনে নামলেন রাজ্যের পুরুষ স্বাস্থ্য কর্মীরা। আজ থেকে একযোগে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও ঝাড়গ্রামে ওই অনশন আন্দোলন শুরু করলেন এমপিএইচডব্লিউ ওয়ার্কাররা।
তাঁদের দাবি, এর আগেও তাঁরা অনশন আন্দোলনে বসেছিলেন, তখন আশ্বাস দেওয়ার পরেও বেতন বৃদ্ধি হয়নি। অথচ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের করোনা আক্রান্তদের পরিষেবা দিয়ে যেতে হচ্ছে। এই অবস্থায় বাধ্য হয়ে তাঁরা বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে অনশনে বসেছেন।জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে ৬ হাজার টাকা মাসিক বেতনে অস্থায়ী ভাবে এই পুরুষ স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়োগ করা হয়। ২০১২ সালে তাঁদের বেতন বৃদ্ধি করে ১৩ হাজার ৮০০ টাকা করা হয়। কিন্তু সেই সময় থেকে তাঁদের আর কোন বেতন বৃদ্ধি হয়নি । সম্প্রতি কোভিড-১৯ এ যাদের নতুন করে নিয়োগ করা হচ্ছে তাঁদের বেতনও ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে বলে জানা গেছে ৷ ওই আন্দলনাকারীদের দাবি, তাহলে তাঁদের বেতন কেন বৃদ্ধি করা হবে না?
আরও পড়ুনঃ বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা খরচ খতিয়ে দেখতে ৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কমিটি
আন্দোলনকারীদের পক্ষে সাবিদুল মিয়াঁ বলেন, “আমাদের আন্দলনের জেরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবায় সমস্যা তৈরি হবে জানি। কিন্তু এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে অনশন আন্দোলন করার সময় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৬ মাস চলে যাওয়ার পরেও বেতন বৃদ্ধি হয় নি। এখন যাদের নতুন করে নিয়োগ করছে, তারাও আমাদের তুলনায় বেশী বেতন পাচ্ছেন, তাহলে আমরা কেন বঞ্চিত থাকবো? তাই ফের অনশন আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। এবার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।”
করোনা মহামারীর আগে ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড সহ বিভিন্ন ধরণের রোগের মোকাবিলায় গ্রামীন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কাজ করেছেন এই পুরুষ স্বাস্থ্য কর্মীরা। কিন্তু করোনা মহামারী শুরু হতেই ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, তাঁদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা, খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করা থেকে শুরু করে ব্লক ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরে প্রত্যেকদিনের তথ্য পাঠানোর কাজ করানো হত এই পুরুষ স্বাস্থ্য কর্মীদের দিয়ে।
আরও পড়ুনঃ ১৮ আগস্ট কোভিড হাসপাতাল হচ্ছে এনআরএস, রোগীদের ডায়েটে পুষ্টিকর খাবারে জোর
কিন্তু ১০ আগস্ট থেকে ফের নতুন করে আন্দোলন শুরু করায় করোনা মোকাবিলার কাজে অনেকটাই প্রভাব পড়েছে বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। এখন এটাই দেখার বিষয় স্বাস্থ্য দফতর তাঁদের নিয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584