আনিসুর রহমানঃ
সাতদিনের মধ্যে মালদার সুজাপুর ন’মৌজা সুভানিয়া জুনিয়র মাদ্রাসার সমস্ত শূন্যপদ পূরণ করার নির্দেশ দিলেন কোলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ বন্দোপাধ্যায়।তার সঙ্গে ভুল তথ্য পরিবেশনের জন্য মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনাও করেন।
মালদার এই বঞ্চিত মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষর অভিযোগ ছিল যে তারা কমিশনের বিজ্ঞপ্তির পর ২০১৪ সালের ১লা জানুয়ারির আগের পিপি অনুযায়ী আবেদন করেছিল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনে নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। কিন্তু কমিশন থেকে কোন শূন্যপদেই শিক্ষক পায়নি তারা। শুনানির শুরুতে কমিশন আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তারা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষক পাঠিয়েছেন।
কিন্তু,তাদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য আদালতের সামনে তুল ধরেন যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উদ্দেশ্যকে মান্যতা দিয়ে অনেক মাদ্রাসাকেই ২০১৪ সালের ১লা জানুয়ারির পরের পিপি অনুযায়ী শিক্ষক দেওয়া হয়েছে কিন্তু তারা কমিশন থেকে কোন শূন্যপদেই শিক্ষক পায়নি। এমনকি, মুর্শিদাবাদ জেলার ভাবতা হাসিনা মেমোরিয়াল গার্লস হাইমাদ্রাসা ২০১৮ সালের ২৪শে জানুয়ারীর পিপি অনুযায়ী ৯টি শূন্যপদে শিক্ষিকা পেয়েছে কমিশন থেকে।এই তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরার পর। তখন কমিশনের আইনজীবী
বোঝানোর চেষ্টা করেন যে উপযুক্ত ক্যান্ডিডেট অবশিষ্ট না থাকার কারণে তারা ঐ মাদ্রাসাকে শিক্ষক দিতে পারেনি।কিন্তু বিচারপতি সে যুক্তি মানতে চাননি।তিনি সাতদিনের মধ্যে ঐ মাদ্রাসার শূন্যপদ পূরণের নির্দেশ দেন। এমনকি ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে ভর্ৎসনাও করেন বিচারপতি।ফলে যা অবস্থা দাড়িয়েছে, তাতে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে আপডেটেড ভ্যাকেন্সিতে নিয়োগ দিতে হবে।
এবিষয়ে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন তোলেননি। তবে কমিশনের অপর এক সূত্র মারফত জানা গেছে রায়ের কপি পাওয়ার পর কমিশন সিঙ্গেল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584