মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
সিবিআইয়ের চিঠি প্রমান করতে পারলে বিজেপি কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নেবে বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
আজ কোচবিহার রাসমেলার মাঠে সাংবাদিক সম্মেলনে মুকুল রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সভায় ১ টা চিঠি দেখিয়ে যে অভিযোগ উনি করেছেন,সেটা প্রমান করুক। তাহলে আমরা প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেব।নতুবা উনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করুক।”
৩ এপ্রিল দিনহাটার সংহতি ময়দানে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ওই সভায় বক্তব্য রাখার সময় একটি চিঠি দেখিয়ে কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের নোটিশ বলে জানান।শুধু তাই নয়, হলফ নামায় বিজেপি প্রার্থী যে ১১ টি মামলার কথা উল্লেখ করেছেন সেটাও তুলে ধরেন। তৃণমূল জেলা নেতারা এনিয়ে প্রথম থেকে প্রচার করে আসলেও মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্যের পর কোচবিহারের রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।পাল্টা জবাব দিহি করতে নামেন বিজেপি নেতারাও।এর আগেই মুকুল রায় কোচবিহারে এসে ওই চিঠিটি ফেক বলে দাবি করেন। মুখ্যমন্ত্রীর মত পদে থেকে সত্যতা যাচাই না করে এমন বক্তব্য রাখায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনাও করেন মুকুল বাবু।
যার সম্পর্কে ওই সিবিআই নোটিশের কথা বলা হয়েছে,খোদ সেই বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক জানিয়েদেন,বেশ কিছু দিন তাঁর নাম সহ তৃণমূলের জেলা সভাপতি,বিদায়ী সাংসদ বেশ কয়েক জন নেতার নামে ওই ফেক চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছিল।সেই ভাইরাল হওয়া ফেক চিঠি মুখ্যমন্ত্রী সভায় দেখিয়েছেন।তবে মুখ্যমন্ত্রীর ওই বক্তব্য নিয়ে বিজেপি আইনের দ্বারস্থ হবে কিনা,তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায় নি।আজ মুকুল রায় একবার মামলার করার কথা জানালেও তার আগে অবশ্য বলেছেন রাজনৈতিক ভাবেই এর জবাব দেওয়া হবে।অন্যদিকে কোচবিহারের তৃণমূল নেতৃত্ব প্রথম থেকেই বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে ১১ টি মামলা, তার মধ্যে সোনার দোকান ও ব্যাংকে ডাকাতি,খুনের অভিযোগ,অস্ত্র আইনে মামলা থাকার প্রসঙ্গ প্রচারে তুলে ধরছেন। সিবিআইয়ের ওই চিঠির প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো নিজেই।এদিন তৃণমূলের কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক সভাপতি খোকন মিয়া বলেন, “১১ টি মামলার কথা তো নিজেই হলফ নামাই জানিয়েছেন।ওই মামলার অনেক গুলো বিজেপি প্রার্থীর রাজনীতিতে আসার আগে।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ভোট লুঠ করার লোক থাকবে না,দল বদলের সভায় মত অধীরের
এমনকি বাইরের জেলায়।তাহলে সেগুলো যে রাজনৈতিক মামলা নয়,তা পরিষ্কার।আর সিবিআই প্রসঙ্গ,সেটাও সময় আসলে পরিষ্কার হয়ে যাবে।” এই চিঠি নিয়ে এদিন সরগরম থাকলো কোচবিহার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584