সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
অন্তঃসত্বাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।ঘটনার পর পলাতক অভিযুক্তরা।উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করে অভিযুক্তের বাড়ি।আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় আসবাবপত্রে।অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করার কারনে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আবারো নতুন করে উত্তেজনা উস্থি থানার খাঁপুর এলাকায়।
অভিযোগ চার মাসের অন্তঃসত্বা গৃহবধূ বছর কুড়ির রেসমা খাতুন।কলেজে পড়াকালিন প্রেম করে রেসমার বিয়ে হয় মগরাহাটের বাসিন্দা মইদুল সাঁপুয়ের সঙ্গে।উস্থি থানার ইয়ারপুর গ্রামে বাপের বাড়ি রেসমার।দিনমজুর বাবার বড় মেয়ে সে।
মইদুলের তৃতীয় স্ত্রী রেসমা।বিয়ের পর মইদুলের সমস্ত ঘটনার কথা জানতে পারে রেসমা। মিথ্যা প্রলোভনে ছলচাতুরী ভালোবাসায় ফাসিয়ে দাম্পত্ত্য জীবন শুরু করে।ফল ব্যবসার পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবারে বাড়ি আছে বলে রেসমাকে বিয়ে করে মইদুল।মিথ্যা কথা ধরার পর তবু মেনে নেই রেসমা।ব্যবসা নয় অসামাজিক কাজ করে মইদুল।
যার প্রতিবাদ করতো রেসমা।বিয়ের পর থেকে বাপের বাড়িতে পন নিয়ে সমস্যা শুরু করে রেসমার উপর।চলে পাসন্ডো মইদুলের অকথ্য অত্যাচার।বাপের বাড়ি আর্থিক দুর্বলতার কারনে নিজের জমানো কন্যাশ্রী,রুপশ্রী টাকা পাসন্ডের হাতে তুলে দেয় রেসমা।
তাতেও নিস্তার নেই।চলতি মাসের পনেরো তারিখ স্বাধীনতা দিবসের দিনই বাঁশ দিয়ে পিঠিয়ে শ্বাস রোধ করে খুন করে পাসন্ডো মইদুল সহ তার পরিবার।দাবি মৃতার বাপের বাড়ি লোকজনের। হাহুতাশ আর চোখের জল ছাড়া কিছুই পাননি মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন ।পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করে রেসমার বাবা হাসেম আলি।তাতেও কিছুই হয়নি ।
আরও পড়ুনঃ সম্পত্তির জন্য বিধবা বৌদিকে খুন,গ্রেফতার দেওর
উস্থি থানার পুলিশের সামনে নির্বিকারে দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাসন্ডো মইদুল সরদার।পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ঘর ভাঙচুর আগুন লাগিয়ে দেয় জনতা।ঘটনার পর পলাতক অভিযুক্ত।ময়না তদন্তের রিপোট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালে ক্ষুব্দ জনতা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে উস্থি থানার ইয়ারপুর গ্রামে টালির ছাউনি দেওয়া কুঁড়ে ঘরে বাস হাসেম আলির বৃদ্ধ হাসেম বৃদ্ধা স্ত্রী আর ছেলেকে নিয়ে থাকেন ।
রেসমার স্বপ্ন ছিল শিক্ষিত হয়ে মন্ডল পরিবারের হাল ধরবে।সে স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়ে পরলো মইদুলের কারনে।মগরাহাট থানা এলাকায় প্রথম বিয়ে করে মইদুল।সেখানে প্রথম স্ত্রীকে মেরে ফেলে সে।তারপর এলাকা ছাড়া হয়ে সোনারপুরে আশ্রয় নেই।
সেখানে দ্বিতীয় বিয়ে করে।সেখানেও দ্বিতীয় স্ত্রীকে মেরে ফেলে বছর দুয়েক আগে উস্থির খাঁপুরে আশ্রয় নেই মইদুল সাঁপুই সেখানে ভালোবাসা করে বিয়ে করে রেসমা।তার পরে দাম্পত্ত্য কলহের মধ্যে এই মরমান্তিক ঘটনা।
গরীব অসহায় মন্ডল পরিবার । পাসন্ডের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন।পুলিশ কাজ না করলেও মন্ডল পরিবারে ভরসা রয়েছে আইনের উপর।শুধু তা ঈশ্বরের উপর আস্থা রেখেছে অসহায় এই মন্ডল পরিবার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584