দুর্গাপুজো নিয়ে রাজ্যের সমস্ত পুলিশকর্তাদের জরুরি নির্দেশ জারি নবান্নের!

0
85

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে প্রথমে দুর্গাপুজো বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু একদিকে দুর্গাপুজো যেমন পশ্চিমবঙ্গে প্রধান জাতীয় উৎসব, ঠিক তেমনই এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু মানুষের রুটি-রুজির সম্পর্ক।

Nabanna | newsfront.co
ফাইল চিত্র

তাই করোনাসুরকে বধ করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেবী দুর্গতিনাশিনীর পুজোর আয়োজন কিভাবে করা যায়, তা ঠিক করতে সোমবারই গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সহ নবান্নের শীর্ষকর্তারা।

এবার পুরো বিষয়টি যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য নবান্নের নির্দেশ মতো প্রতিটি পুজো কমিটির বিষয়ে পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের বিশেষ নির্দেশ দিলেন ডিজি বীরেন্দ্র।

আরও পড়ুনঃ বাগবাজারে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাঁধা তর্পণ মঞ্চ খুলে দিল পুলিশ

প্রাথমিক ভাবে মণ্ডপ খোলামেলা রাখা, মণ্ডপে স্যানিটাইজেশন থেকে অন্যান্য করোনা স্বাস্থ্যবিধি পালনের বিষয়ে এর আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের ডিজি নির্দেশ দিলেন, প্রত্যেক থানার ওসি বা আইসিরা তাঁদের এলাকার পুজো কমিটি গুলোর সঙ্গে এই সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করে রিপোর্ট পাঠাবেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।

আরও পড়ুনঃ ফের নিম্নচাপের জেরে আশ্বিনের শুরুতেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস

অর্থাৎ প্রত্যেক বছর যেমন দমকল, বিদ্যুৎ ইত্যাদি বিষয়ে ছাড়পত্র নিয়ে তবে পুজোর ছাড়পত্র পেতে হয়, ঠিক তেমনই এবারে প্রত্যেক মণ্ডপে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি পালনে কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা খতিয়ে দেখে তবেই পুজোর অনুমতি দেওয়া হবে।

প্রতিটি পুজো কমিটির কাছে জানতে চাওয়া হবে, কীভাবে তাঁরা পুজোর গোটা পর্ব পরিকল্পনা করছেন? সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মণ্ডপে কী ব্যবস্থা রাখা হবে? স্যানিটাইজারের জন্যে কী ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে? স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে করোনা সচেতনতা প্রচার করা হবে?

আরও পড়ুনঃ তর্পণের আগেই ঘাট সাফ রাখছে কলকাতা পুরসভা

অঞ্জলি দেওয়ার সময় অনেক মানুষ ভিড় করেন, তা সামলাতে কী ব্যবস্থা রাখা হবে? পুজো কমিটিগুলির থেকে এই তথ্যগুলি পাওয়ার পর তা পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারকে পাঠানো হবে। ক্ষেত্রবিশেষে কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে তা খতিয়ে দেখে সংশোধন করা হবে। তারপরেই পুজোর অনুমতি দেওয়া হবে।

করোনা কালে দুর্গাপুজোর আয়োজনের কথা মাথায় রেখে দু’মাস আগে ১৭ দফা পরামর্শ শহরের পুজোকর্তাদের পাঠিয়েছিল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। খাবারের স্টল থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ পুজোর নিয়মবিধি করোনা কাল অনুযায়ী সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণে পুজোর মাসখানেক আগে থেকেই সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে পুলিশকর্তাদের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য প্রশাসন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here