ওয়েবডেস্কঃ
লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক নেতারা ততই একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণের তীর ঝাঁজালো করছেন। প্রত্যেক রাজনৈতিক সভাতেই একে অপরকে ব্যঙ্গ করতেও পিছপা হচ্ছেন না কেউই।
রাহুল গান্ধী যেমন ‘চৌকিদার হি চোর হ্যায়’ বলে কটাক্ষ করছেন নরেন্দ্র মোদিকে। নরেন্দ্র মোদীও পিছিয়ে নেই। গত শনিবার দেশের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লাইভ অনুষ্ঠান চলাকালীন খড়গপুর আইআইটি ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার সময় এক ছাত্র ব্যাখ্যা করছিল সে কিভাবে ডিসলেক্সিয়া রোগে আক্রান্ত ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে কাজ করে চলেছে। ছাত্র যখন বলছিল যে ডিসলেক্সিয়া রোগে আক্রান্ত ছাত্র ছাত্রীরা লিখতে ও পড়তে না পারলেও তারা প্রচুর বুদ্ধিমান এবং ক্রিয়েটিভ।যেমনটি আমির খানের ‘তারে জমিন পর’ সিনেমায় দরশিল সাফারির চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। সেই সময় হঠাৎই সেই ছাত্রের বক্তব্য থামিয়ে “এই স্কিমটা কি ৪০-৫০ বছরের বাচ্চাদের জন্য কাজ করবে না?” বলেই হাসিতে ফেটে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছাত্রছাত্রীরাও তাঁর সঙ্গে যোগ দেয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এখানেই থেমে থাকেননি। “তাহলে এসব বাচ্চাদের মায়েরাও খুব খুশি হবেন”, বলে তিনি আবারও অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন। ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই চুপ হয়ে যায়।
Dyslexia is no joke..
Ignorant Modi— Ayaz Mehmood (@Agent53a) March 3, 2019
এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। নেটিজেনদের অনেকেই এটা ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে ব্যাঙ্গ হিসাবে দেখে সমালোচনা করতে থাকেন। তবে এটা বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি যে তাঁর আক্রমণের তীর ছিল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর দিকে।
আরও পড়ুনঃকাশ্মীরে ‘ভারতীয় সন্ত্রাস’ নিয়ে ওআইসির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে কড়া বার্তা ভারতের
(ছবি সৌজন্যে-জনতা কা রিপোর্টার)
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584