শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
কিছুদিন আগে লঙ্কর-ই-তৈবা লিংকম্যান তানিয়া পারভিনকে এসটিএফের হেফাজত থেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিলেন এনআইএ গোয়েন্দারা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রথম দিনই তার পাকিস্তান পালানোর ছক জানতে পারেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, বুধবার রাতে সল্টলেকে এনআইএর পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতর থেকে তানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বাদুড়িয়া থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মালেয়াপুর গ্রামে যাওয়া হয়।
কলকাতা পুলিশের এসটিএফ তানিয়াকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির বেশ কয়েকটি ঘর সিল করে দিয়েছিল। এদিন রাতে সেই ঘরগুলি খুলেও তল্লাশি চালানো হয়।
বাজেয়াপ্ত করা হয় তানিয়ার বেশ কিছু ডায়েরি ও বইপত্র। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তল্লাশির পর ফের তানিয়াকে নিয়ে নিউটাউনে ফিরে আসেন। এই সময়ের মধ্যেই পাড়ায় কার কার সঙ্গে তানিয়ার বেশি মেলামেশা ছিল, বাইরের কারা মালেয়াপাড়ায় তানিয়ার বাড়িতে আসত সে সব নিয়েও খোঁজ নিয়ে নেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুনঃ নাম বদলে পাকিস্তান পালানোর ছক ছিল তানিয়ার
প্রসঙ্গত, বছরখানেক ধরে তানিয়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেন নজরে এসেছিল অর্থমন্ত্রকের।
বিদেশ থেকে আসা এই বিপুল অর্থের উৎস খুঁজতে যোগাযোগ করা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে। নজরদারি চালিয়ে লস্কর-ই-তৈবার লিঙ্কম্যান সন্দেহে ১৮ মার্চ কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্কফোর্সের গোয়েন্দারা বাদুরিয়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বসিরহাটের তরুণী কলকাতার আবুল কালাম আজাদ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তানিয়া পারভিনকে।
আরও পড়ুনঃ বাদুড়িয়া থেকে ধৃত লস্কর লিঙ্কম্যান কলেজ পড়ুয়াকে হেফাজতে নিল এনআইএ
গোয়েন্দাদের দাবি, ২ বছর ধরে এলাকার মুসলিম যুবক-যুবতীদের ট্রেনিং দিচ্ছে সে। এই কাজের জন্য বেশ কয়েকবার কাশ্মীর, দিল্লি ও মুম্বইতে গিয়েছে তানিয়া।
১২ জুন তানিয়াকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বসিরহাট আদালতে আবেদন জানায় এনআইএ। তারপরেই তাকে দমদম সেন্ট্রাল জেল থেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয় এনআইএ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584