ওড়িশায় আদিবাসী দম্পতিকে ডাইনি সন্দেহে কুপিয়ে খুন করল প্রতিবেশীরা

0
27

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ডাইনি সন্দেহে কুপিয়ে খুন করা হল এক আদিবাসী দম্পতিকে। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার মালকানগিরিতে। ওই দম্পতির বিরুদ্ধে এলাকায় রোগ ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছিলেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওড়িশার পেন্ডালগুডা এলাকায় যে দম্পতিকে ডাইনি সন্দেহে খুন করা হয়েছে তাঁরা হলেন সামা মাডি (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী সুকুরি মাডি (৪২)।

murder | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

রক্তাপ্লুত অবস্থায় তাঁদের দেহ উদ্ধার করে মালকানগিরির পুলিশ। ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি দুষ্কৃতীদের সন্ধানে তল্লাশি চলেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৯ সালে আচমকাই নিহত দম্পতির প্রতিবেশী মুকা মাড়কামির পা ফুলে ওঠে।

তাঁর স্ত্রী লাখমা মাড়কামিরও একই রকম পা ফুলে যায়। এর পর তাঁদের ১০ বছর বয়েসি মেয়েরও পা ফুলে যায় এবং সে মারা যায়। তবে কেন তাঁদের পা ফুলে যাচ্ছিল সেই রহস্য কোনোদিনই উন্মোচন করা যায়নি। অবশেষে গোটা পরিবারের এই রোগের জন্য তাঁদের প্রতিবেশী মাডি দম্পতির বিরুদ্ধে কালো জাদু প্রয়োগ করার অভিযোগ আনেন।

আরও পড়ুনঃ বিদ্যুৎ ফেরানোর দাবিতে রাজ্যসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ তুফানগঞ্জে

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ডাইনি হত্যা বন্ধ করার আইন পাশ করানোর পরেও ওড়িশায় প্রান্তিক জনজাতি অধ্যূষিত এলাকায় এই ধরনের হত্যাকাণ্ড রুখতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। চলতি মাসের গোড়ায় ১৭ জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে ১৪ বছরের এক কিশোরকে খুন করা হয়েছে।

মাত্র তিন দিন আগে মালকানগিরিতে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয়েছে বছর আঠারোর সামারু মাড়কামির দেহ, যাকে ডাইনি সন্দেহে পিটিয়ে খুন করে প্রতিবেশীরা।

আরও পড়ুনঃ করোনায় সহকর্মীর মৃত্যু! বেহালা ফায়ার স্টেশনে বিক্ষোভ দমকলকর্মীদের

ডাইনি হত্যা নিবারণ আইন পাশ হলেও কুসংস্কার থেকে বিরত থাকেননি ওড়িশার প্রান্তিক জনজাতি অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা। যাতে আর কাউকে ডাইনি সন্দেহে খুন হতে না হয় সেই ব্যবস্থাই করতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। আর কিছু দিনের মধ্যেই মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে গ্রামীণ অঞ্চলে প্রচার অভিযান চালু করার পরিকল্পনা করেছে সে রাজ্যের প্রশাসন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here