নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
এক নেতাজির দুই প্রতিকৃতির মধ্যে দূরত্ব ১০০ মিটারের কম! তবু যেন দুই মূর্তির ব্যবধান দিনেকে দিন বাড়ছে! দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর একটি প্রতিকৃতি স্থাপন করা হলো মহা ধুমধামে, অপর প্রতিকৃতিটি থেকেই গেলে আড়ালে! ১৯৯৭ সালে দাসপুর-২ ব্লকের খেপুত উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল৷ সেই সময় স্থানীয় কয়েক জনের আর্থিক সহায়তা নিয়ে তরুণ সংঘের সদস্যরা ওই মূর্তিটি স্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে ছিলেন৷ কিন্তু ২০১৭ সালে রাস্তা সম্প্রসারণের কারণে ওই মূর্তি সরানোর প্রয়োজন হয়৷ বর্তমানে ওই মূর্তির ঠাঁই হয়েছে সংঘের আটচালায় কয়েকটি ইট বসানো টুলের ওপর৷
জনমানসে অসন্তোষ থাকা সত্ত্বেও সেই সময় মূর্তিটিকে খেপুত এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার কথা মতো সরানো হয়েছিল৷ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, রাস্তা তৈরি হয়ে গেলেই ওই মূর্তিটি পুনরায় বসানোর ব্যবস্থা করা হবে৷একবছর পার হলেও সেই মূর্তি রয়ে গিয়েছে একই স্থানে৷ চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি কয়েকজন মনীষীর প্রতিকৃতি সাথে নতুন করে নেতাজির একটি মূর্তি স্থাপন করা হয় খেপুত উচ্চ বিদ্যালয়ে৷ মহাসমারহে সেই মূর্তির উদ্বোধনও করা হয়৷ কিন্তু পুরাতন সেই মূর্তিটি পুনঃস্থাপনে এখনও কোনরকম উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের৷খেপুতের বাসিন্দা সৌমি নাগ,শ্রীতমা বেরা একই সুরে বলেন, বহুদিন হয়েছে মূর্তিটি পুনঃস্থাপনে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি৷সব চেয়ে অবাক লাগছে সংঘের সদস্যরাও কোন অজানা করনে, এই বিষয়ে উদাসীন! ১০০ মিটারের মধ্যে নতুন করে দেশ নায়কের অপর মূর্তিটি স্থাপন করা হলো৷এটি বেশ ভালো বিষয়! কিন্তু মানুষটি যখন একই, তখন পুরাতন মূর্তিটিকে যে ভাবে অবহেলা করা হচ্ছে তা মনে নেওয়া যাচ্ছে না! চাইব দ্রুত যাতে নতুন মূর্তিটি সসম্মানে স্থাপন করা হয়৷
আরও পড়ুনঃ রাতেই মাচানতলা মোড়ে প্রতিবাদসভা করে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা
খেপুত তরুন সংঘের প্রাক্তণ সভাপতি সুশোভন দত্ত বলেন, নেতারা তাদের দেওয়া কথা রখেননি৷কর্মসূত্রে বর্তমানে বাইরে রয়েছি৷ ইতিমধ্যে স্থানীয় মানুষদের সাথে বিষটি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে৷ আমরা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ জানিয়ে বিডিও অফিসে দরবার করব৷
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584