বিজেপির নতুন বোতলে সিপিএমের পুরানো মদ বলে উল্লেখ ববির

0
94

পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ

নতুন বোতলে পুরনো মদ এই বলেই বিজেপিকে তীব্র সমালোচনা করলেন রাজ্যের পূর্ত ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম। আজ নানুরের বাসাপাড়ায় ২০০০ সালের ২৭ জুলাই সুচপুরে নিহত এগারোজন সংখ্যালঘু তৃনমূল কংগ্রেস সমর্থকের স্মৃতিতে আয়োজিত নানুর দিবসে বক্তব্য রাখছিলেন।তার কথায়, “আজ এই বাংলায় সিপিএম নেই। কিন্তু তাদের হার্মাদরা আছে। এখন সেইসব সিপিএমের হার্মাদরা বিজেপিতে আশ্রয় নিয়েছে। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জব্দ করা যায়। বিজেপির নতুন বোতলে সিপিএমের পুরনো মদ। কিন্তু বাংলার মানুষ বলেছে বিজেপির বোতলে সিপিএমের মদের লোভে তারা আর পড়ছে না। তারা উন্নয়নের বাংলার সাথী হয়েই থাকবে”। এদিনের ভাষণে তিনি অভিযোগ করেন, “কিছু কিছু লোক নতুন কিছুতে চুমুক দিতে ভালোবাসে। কিছু কিছু জায়গায় অশান্তি করার চেষ্টা চলেছে। এই সব লোকজন জানে না বিজেপি ঝাড়খণ্ড থেকে লোক পাঠিয়েছে, ক্রিমিনাল পাঠিয়েছে, মাওবাদীদের একটা অংশকে পাঠিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করছে। বাংলাকে উত্তপ্ত করে – বাংলাকে ডিসর্টাব করতে হবে, বিজেপি এই পলিশি নিয়েছে”। “বিজেপির এই চক্রান্ত এই বাংলায় সফল হবে না। এই বাংলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলা।

নিজস্ব চিত্র

বিজেপি ভুলে গেছে যে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় এই বাংলার প্রতিটি প্রান্তে যে দুজন মহিলা একতায় সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে গেছেন তারা মাদার টেরেজা আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এই বাংলায় বিজেপির তাণ্ডব রুখে দেব আমরা”। সম্প্রতি মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা নিয়েও সমালোচনা করেন মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম। তিনি বলেন, “সাড়ে চার বছর ধরে নোট বন্দী, জি এস টি এইসব করে মানুষের নাভিশ্বাস তুলে এখন তিনি কৃষক দরদী হয়ে গেছেন। ভাঁওতা দিয়ে মানুষকে আবার বোকা বানাবার চক্রান্ত চলছে। আশা করেছিলাম কৃষকদের জমায়েতে বড় কোন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তিনি কি বললেন? বললেন এই রাজ্যে নাকি সিন্ডিকেট চলেছে। না, মোদী বাবু, এখানে সিন্ডিকেট চলছে না। সে সব চলছে গুজরাট, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের মত জায়গায় যেখানে আপনারা সিন্ডিকেট করে মানুষ খুন করছেন”। বীরভূম জেলা তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এদিন জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “গোরক্ষার নামে মানুষ খুন করছে বিজেপি। বিজেপি আর তাদের আর এস এস হিন্দুদের তাতাছে। আমরা এইসব মেনে নেব না। আমরা ওদের থেকেও বড় যাদুকর। মানুষ আমাদের সঙ্গে।

নিজস্ব চিত্র

সেই মানুষদের সঙ্গে নিয়েই ২০১৯-এ লোকসভায় যোগ্য জবাব দেব। মানুষ মমতাকে বিশ্বাস করে – বিজেপিকে নয়। তাই শুধু এই রাজ্যের মানুষ নয়, দেশের মানুষ আজ তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাইছে”। এদিনের সমাবেশে রাজ্যের অপর দুই মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী সহ দলের জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here