শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
শুধু দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারি সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই নয়, এবার ১০ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরতে রিপোর্ট কার্ড পেশ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
গত ১০ বছর ধরে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার কী কাজ করেছে বাংলার মানুষের জন্যে, তার যাবতীয় খতিয়ান তুলে ধরা হবে এই রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে। ‘দিদিকে বলো’, ‘বাংলার গর্ব মমতা’র পরে চালু হচ্ছে এই নয়া প্রকল্প, যার নাম ‘বঙ্গধ্বনি।’
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্য ২১, দু’দিনের সফরে রাজ্যে এলেন জে পি নাড্ডা
এই প্রকল্পের মাধ্যমেও মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছবেন জনপ্রতিনিধি থেকে সাংগঠনিক পদের ব্যক্তিরা। তাঁরাই এই রিপোর্ট কার্ড পেশের মাধ্যমে মানুষের কাছে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে দেবেন। যে যে পরিবারের কাছে পৌঁছানো হবে, তারা কোন কোন সরকারি প্রকল্প পাননি, সেটা জেনে নেওয়া হবে দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি প্রকল্পে। আবার এলাকায় কি কি উন্নয়ন হয়েছে, তা তুলে ধরা হবে বঙ্গধ্বনি প্রকল্পে রিপোর্ট পেশের মাধ্যমে।
আরও পড়ুনঃ এখানে না এলে দুঃখ হয়, বাংলা সফরে এসে জানালেন নাড্ডা
বৃহস্পতিবার থেকেই এই প্রচারে কোমর বেঁধে নেমে পড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবারই পেশ করা হবে ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড। এরপর কলকাতায় দফতরের মন্ত্রীরা সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই রিপোর্ট কার্ডের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেবেন। কলকাতায় ও জেলার মন্ত্রীরা সেই কাজ করবেন। এরপর জেলা নেতৃত্ব সেই বিষয়ে নিজেদের জেলায় কেন্দ্রীয় ভাবে প্রচার করবেন।
শুক্রবার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে সাংবাদিক সন্মেলন এবং মিছিল করে শুরু হবে ‘বঙ্গধ্বনি’ যাত্রার প্রচার অভিযান। আগামী ১০ দিনে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে তিন থেকে পাঁচটি দল যাত্রা শুরু করবে। জানা গিয়েছে ওই যাত্রায় ৪০০০ নেতা ৯৫০টি দলে ভাগ হয়ে ২৭৫০০ এলাকায় যাবেন।
আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রতিটি ব্লকে চলছে কংগ্রেসের ডেপুটেশন কর্মসূচি
রাজ্যের প্রায় আড়াই লক্ষ কিলোমিটার জুড়ে ১ কোটি মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবেন ওই প্রচারের দায়িত্বে থাকা নেতানেত্রীরা। সেই সঙ্গে দেওয়া হবে ২০২১ সালের ‘দিদিকে বলো’ পকেট ক্যালেন্ডার।আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে ত্রিস্তরীয় প্রচারের পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে তিনটি করে দল গঠন করা হয়েছে। যারা নিজেদের এলাকায় সমগ্র প্রচারের কাজ সম্পন্ন করবেন। এই তিন দলের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর দলে থাকবেন জেলা সভাপতি বা সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা। এরা সমগ্র বিষয়টি পরিচালনা করবেন এবং শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে প্রত্যেকদিনই রিপোর্ট পৌঁছে দেবেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584