নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
বেঁধে দেওয়া হল স্কুলের প্রাত্যহিক ডিজিটাল ক্লাসের সময়সীমা। একটানা অনলাইন ক্লাস করার করাণে মানসিক অবসাদ গ্রাস করছে পড়ুয়াদের। শুধু তাই নয়, অনলাইন ক্লাসের জেরে চোখের সমস্যাতেও ভুগছেন বেশ কিছু পড়ুয়া। তাই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই ডিজিটাল ক্লাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার ব্যবস্থা করলো কেন্দ্র।
অনলাইন ক্লাস সম্পর্কে শর্তাবলী প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। মঙ্গলবার প্রকাশিত এই নির্দেশাবলীতে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির পড়ুয়াদের প্রত্যহ ডিজিটাল ক্লাসের সময় ৩০ মিনিট ধার্য করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। সেই সঙ্গে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিদিন দুটি ৪৫ মিনিটের ক্লাস এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চারটি করে ৪৫ মিনিটের ক্লাস রাখা যাবে।
Introducing 'PRAGYATA': Guidelines on #DigitalEducation for school heads, teachers, parents, and students containing recommended screen time for children, tips on coping with mental/physical stress during #DigitalLearning & more. Stay tuned for more details.#PRAGYATA pic.twitter.com/o1BkkhID7j
— Dr. Ramesh Pokhriyal Nishank (@DrRPNishank) July 14, 2020
এ দিন সকালে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক টুইট করে জানান, ‘চালু করা হল ‘প্রাজ্ঞতা’: স্কুলের প্রধান, শিক্ষক, অভিভাবক ও পড়ুয়াদের জন্য নির্ধারিত স্ক্রিনটাইম, অনলাইন শিক্ষা চলাকালীন মানসিক ও শারীরিক অবসাদ কাটানোর টিপস, সবিস্তারে জানার জন্য নজর রাখুন।’
আরও পড়ুনঃ উপমুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরানো হল সচিনকে
কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক দ্বারা প্রদত্ত ‘প্রাজ্ঞতা’ নিয়ামবলীতে উল্লিখিত হয়েছে অনলাইন শিক্ষার মোট ৮টি ধাপ। এই ধাপগুলি হল যথাক্রমে প্ল্যান (পরিকল্পনা), রিভিউ (পর্যালোচনা), অ্যারেঞ্জ (শৃঙ্খলাভিত্তিক সাজানো), গাইড (প্থ প্রদর্শন), অ্যাসাইন (নিয়োগ), ট্র্যাক (নজর রাখা) এবং অ্যাপ্রিশিয়েট (প্রশংসা করা)।
এছাড়াও নিয়মাবলীতে রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ, স্কুলের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের জন্য কয়েকটি প্রস্তাব, যার মধ্যে রয়েছে,
১) মূল্যায়ণ প্রয়োজন।
২) অনলাইন শিক্ষার পরিকল্পনা করার সময় নজর রাখতে হবে তার সময়সীমা, স্ক্রিন টাইম, অংশগ্রহণ, অনলাইন ও অফলাইন কাজকর্মের মধ্যে সাযুজ্য বজায় রাখার মতো স্তরের উপরে।
৩) হস্তক্ষেপ প্রক্রিয়াকরণ, যার মধ্যে পড়ছে পাঠ্যপ্রণালী অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক চয়ন, এবং স্তর অনুযায়ী পাঠ্য বিষয়ক তথ্যাদি বিতরণের মতো বিষয়।
৪) ডিজিটাল প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া চলাকালীন শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা।
৫) সাইবার নিরাপত্তা ও নীতিগত আচরণ বজায় রাখার উদ্দেশে সাবধানতা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
৬) বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে সহায়তা ও সাযুজ্য বজায় রাখা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584