নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
রাধিকার হাতে তৈরি জলখাবারে হিং-এর কচুরি খেয়ে ঠাম্মির ঘণ্টু একেবারে গলে জল। রাধিকাকে শরীরের খেয়াল রাখতে নির্দেশ দেয় সে। ওদিকে রাধিকা ঠাম্মির কথামতো ‘ইল্লি’ বলে। আর তা ঘণ্টু শুনতে পেয়ে যায় চটে। জুনিয়র সেন’দের এহেন সব কাজকর্মে দিব্যি জমে উঠেছে ধারাবাহিক।
রেটিং-ও বাড়ছে চড়চড়িয়ে। দর্শকের মনে তোলপাড় চালাচ্ছে কর্ণ-রধিকা জুটির দুষ্টু মিষ্টি প্রেম। ওদিকে মণির বাড়ি প্রদীপ দিয়ে সাজাতে হাজির হয় মণির বাবাজীবন কর্ণ। মনে মনে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে সোনালী। ঠাম্মির দেওয়া টাস্কে বেজায় জব্দ পায়েল সেন।
বাবলির আবার দেশের বাড়িতে গিয়ে শরীরে নানান উপসর্গ দেখা দিয়েছে। যা কোনও খুশির খবর বহন করতে পারে৷ এহেন সব ঘটনাতেই মুখর ‘কী করে বলব তোমায়’। তবে, এত ভাল আর মজার মাঝে একটা ব্যাপার এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে একটু হলেও বাড়তি এবং অতিরঞ্জিত বলে মনে হচ্ছে দর্শকের৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় উঁকি দিলেই তার প্রমাণ মেলে।
নাতবৌ’দের উদ্দেশ্যে ঠাম্মির দেওয়া মৌনব্রত পালন, নাতবৌদের দিয়ে পা টেপানো, নাতবৌকে নানা আছিলায় ঘরে আটকে পারিবারিক ব্যবসার ক্ষতি- এই জাতীয় ব্যাপারগুলো আজ আর সচরাচর দেখা যায় কি সাধারণের ঘরে? সম্ভবত না।
সমসাময়িক পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে যখন ধারাবাহিক বানানো হচ্ছে, তখন এদিকে আরও একটু যত্ন নিলে ভাল হত। তবে হ্যাঁ, সব কাজের পিছনেই একটা সঙ্গত কারণ থাকে। এমনটাও তো হতে পারে যে ঠাম্মির দেওয়া টাস্কের হাত ধরেই রাধিকা-কর্ণ আরও তাড়াতাড়ি কাছাকাছি আসবে, ঠিক যতটা চায় দর্শক।
আবার এমনও হতে পারে ঠাম্মির দেওয়া দায়িত্ব পালন করতে করতে পায়েল এবং রাধিকার মধ্যেও ভাব জমবে। সবটাই সাংবাদিক মনের অনুমান। দর্শকও এমনটাই ভাবছেন কিনা তা তাঁরাই জানেন।
তবে, ধারাবাহিকটি ঘিরে দর্শকের আগ্রহের পারদ বাড়ছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। ঠাম্মিও এমনিতে রাগী হলেও বেশ মিষ্টি৷ তার মুচকি হাসিতে ভরা দুষ্টুবুদ্ধি বেশ আকর্ষণীয়।
আরও পড়ুনঃ স্নেহাশিসের ‘খেলাঘর’-এ অন্য ভালোবাসার বসবাস
“ও বড় নাতবৌ, ও ছোট নাতবৌ” ডাকার মধ্যে কোথাও একটা মায়া জড়িয়ে থাকে।শেষ অবধি কোন দিকের জল কোনদিকে গড়ায় তা জানতে হলে দেখতে হবে ‘কী করে বলব তোমায়’ সোম থেকে শুক্র রাত সাড়ে ৯ টায়, জি বাংলায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584