নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
কেন্দ্রে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে প্রত্যাহার করা হবে কৃষি আইন। পঞ্জাবের কৃষকদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভেঙে ফেলতে চাইছেন দেশের তিনটি স্তম্ভকে-ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও পাইকারি বাজার, তোপ রাহুলের।
কৃষি আইনের প্রতিবাদে রবিবার থেকে তিনদিনের ট্র্যাক্টর মিছিল শুরু করেছেন কৃষকরা। তারই সূচনা করে এ দিন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, বিজেপি সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হল এমএসপি ও ফুড প্রকিওরমেন্টকে ধ্বংস করে দেওয়া। এই সরকারকে কখনই এটা করতে দেবে না কংগ্রেস।
এদিন রাহুল গান্ধী প্রতিশ্রুতি দেন, ‘আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি যে, যখনই কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে, আমরা এই কালা আইন মুছে ফেলব।’ তিনি আরও বলেন,’ আমরা নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করব আর এই কালা আইন মুছে ফেলব।’
আরও পড়ুনঃ তমলুকে দিলীপ ঘোষকে কালো পতাকা প্রদর্শন
সংসদে বাদল অধিবেশনে তীব্র হই-হট্টগোলের মধ্যে দিয়ে কৃষি বিল পাশ হয়ে আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিরোধী ও কৃষকদের বিক্ষোভ। নিজেদের অবস্থান আরও স্পষ্ট করতে কংগ্রেসের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে খেতি বাঁচাও যাত্রা।
আরও পড়ুনঃ এলজেপিকে ছাড়াই আসন সমঝোতা বিজেপি-জেডিইউ’র, এনডিএ জোট ঘিরে প্রশ্ন
গত সপ্তাহে কৃষি আইনের বিরোধিতায় রাজধানীর ‘হাই সিকিউরিটি’ এলাকা, ইন্ডিয়া গেটের সামনে ট্র্যাক্টর জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। চারপাশে স্লোগান ওঠে, নয়া কানুন ওয়াপস লো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন যারা ট্র্যাক্টর পোড়ালো তারা অপমান করেছে দেশের চাষিদের । নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে সে দিন দেশের নানা প্রান্তে চলে বিক্ষোভ।
তবে, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় বড় সংখ্যায় কৃষকেরা পথে নামলেও দেশের অন্যত্র বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিল কংগ্রেস এবং তাদের সহযোগী দলগুলি। দিল্লি থেকে তামিলনাড়ু- কোথাও শুধুই স্লোগান তো কোথাও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। একাধিক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের আটক করেছে পুলিশ।
দেশজুড়ে চলা তীব্র কৃষক বিক্ষোভের মধ্যেই কৃষি বিলের পক্ষে জোরালো সওয়াল করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তব্য যাঁরা কৃষি আইনের বিরোধিতা করছেন তাঁরা যে শুধু চাষিদের বিরোধিতা করছেন তাই নয়, অপমান করছেন দেশের চাষীদের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584