মোহনা বিশ্বাস, ওয়েবডেস্কঃ
শরীরে করোনার উপসর্গ সবেমাত্র দেখা দিলে আর যেতে হবে না হাসপাতালে। বাড়িতেই আলাদা থাকার নির্দেশ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। সংক্রমণ রুখতে হোম কোয়ারান্টাইনের বিষয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানান, যাদের করোনা সংক্রমণের খুব সামান্য লক্ষণ রয়েছে তারা আসলে “প্রি-সিমটোম্যাটিক” বা “প্রাক-লক্ষণ যুক্ত”। এই সামান্য লক্ষণ চোখে পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে তাঁর নিজের ঘরের মধ্যে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা উচিত। যারা কোভিড-১৯ পজিটিভ তদেরকে আগে থেকে নিজেদের বাড়িতে আলাদা করে রাখা হলে সংক্রমণ ছড়াবে না বলেও জানান তাঁরা।

অর্থাৎ, গোষ্ঠী সংক্রমণ এড়ানোর এটাই একমাত্র পথ বলে মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সরকার জানিয়েছে যে ‘খুব হালকা / প্রাক-লক্ষণজনিত রোগী’ যাদের নিজের ঘরে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখার সুযোগ রয়েছে তাঁরা তা থাকতে পারেন। তবে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা করোনা রোগীদের নিয়মিত সরকারি নজরদারি আধিকারিক এবং স্থানীয় হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এও বলেন যে, রোগীদের অবশ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে রাখতে হবে এবং ওই অ্যাপে দেওয়া নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। তবে শুধুমাত্র সামান্য লক্ষণযুক্ত করোনা আক্রান্ত রোগীকে বাড়িতে আলাদা রাখলেই চলবে না। আলাদা রাখার পাশাপাশি একজন দেখভালকারীকে প্রতিদিনই রোগীর দিকে চব্বিশঘন্টা নজর রাখতে হবে।
এরপর যদি দেখা যায়, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে বাড়িতে থাকা এবং ওষুধ খাওয়ার পর রোগীর শরীরে সংক্রমণ জনিত কোনও লক্ষণ নেই। এবং এরপর ল্যাব টেস্টের পর নজরদারি মেডিকেল অফিসার যদি রোগীকে সংক্রমণমুক্ত বলে ঘোষণা করে সার্টিফিকেট দেয়। তবেই হোম আইসোলেশন থেকে মুক্তি পাবেন রোগী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই নতুন নির্দেশিকায় সংক্রমণ কতটা ঠেকানো যাবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584