করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর কারন থেকে সৎকার প্রক্রিয়া নিয়ে নয়া নির্দেশিকা আইসিএমআর-এর

0
61

মোহনা বিশ্বাস,ওয়েবডেস্কঃ

ভারতে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ ছড়াচ্ছে। যতদিন যাচ্ছে আক্রান্তর সংখ্যা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এহেন পরিস্থিতিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হচ্ছে, নাকি মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনো কারণ থাকছে তা নিয়ে অনেকের মনেই সন্দেহ বাসা বাঁধছে।

ICMR | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

আর তাই নতুন গাইড লাইন জারি করল আইসিএমআর ও এনসিডিআইআর। মৃত্যুর কারণ থেকে শুরু করে সৎকারের সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে। করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর পর কি কি করতে হবে, তা ১১ পাতার এই গাইডলাইনে লেখা আছে।

কিভাবে মৃত্যুর কারণ নথিভুক্ত করতে হবে?

১) প্রথমে মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ হিসাবে রোগের নাম উল্লেখ করতে হবে।

২) রোগী কিভাবে মারা গেলেন? সেটা উল্লেখ করতে হবে।

৩) রোগীর অন্য কোনো রোগ ছিল কিনা, এবং তা কিভাবে রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিল? তা উল্লেখ করতে হবে।

৪) রোগ শরীরে ছড়ানো থেকে শুরু করে মৃত্যুর মাঝে ব্যবধান উল্লেখ করতে হবে।

৫) মৃত্যুর কারণ অ্যাব্রিভিয়েশনে লেখা যাবে না।

কোন কোন ক্ষেত্রে করোনায় আক্রান্ত রোগীর ময়নাতদন্ত করতে হবে?

১) হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকাকালীন করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলে ময়নাতদন্তের কোনও দরকার নেই।

২) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হলে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করতে হবে।

৩) করোনা আক্রান্ত রোগী আত্মঘাতী হলে অথবা দুর্ঘটনায় করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলে সেক্ষেত্রে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো যেতে পারে। তবে তদন্তকারী অফিসার যদি সন্দেহজনক কিছু নেই বলে মনে করেন তাহলে ময়নাতদন্তের কোনও প্রয়োজন নেই।

গাইড লাইনে উল্লেখ্য করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃতদেহের সৎকার প্রক্রিয়াগুলি কি কি?

১) করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে মৃতদেহ অবশ্যই বৈদ্যুতিন চুল্লিতে দাহ করতে হবে। কবর দিলে সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়ে দিতে হবে এবং উপরে লিখে দিতে হবে, ‘এখানে আক্রান্তের মৃতদেহ রয়েছে।’

২) মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দিলে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে যে, মৃত ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ছিলেন।

৩) পরিবারের লোকেরা শেষবারের জন্য যাতে মৃত ব্যক্তির মুখ দেখতে পান সেইজন্য ট্রান্সপারেন্ট ব্যাগে মৃতদেহ রাখলে ভালো।

৪) মৃতদেহের এক মিটারের মদ্যে কেউ যেতে পারবে না।

৫) করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ ছুঁয়ে কোনও ধর্মীয় রীতি পালন করা যাবে না।

৬) পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ সৎকার করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এছাড়াও, আইসিএমআর ও এনসিডিআইআর-এর গাইড লাইনে বলা হয়েছে যে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এবং সম্ভাব্য অথবা সন্দেহজনক করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু প্রদত্ত দুটি কোড ডেথ সার্টিফিকেটে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here