শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
হাসপাতাল থেকে যাতে কোনও রোগীকে ফেরানো না হয়, সে বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেও দেখা গিয়েছে, সাধারণ রোগী তো বটেই, এমনকি করোনা পজিটিভ রিপোর্ট নিয়ে আসা রোগীকেও ফিরিয়ে দেওয়া বন্ধ হয়নি। তাই এবার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ রোগী সহ করোনা রোগীদের ভর্তি নিয়ে হয়রানি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে জোড়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
মঙ্গলবার রাতে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের জন্য পৃথক নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, রোগী প্রত্যাখ্যানের রিপোর্ট পেলে কড়া পদক্ষেপ করবে স্বাস্থ্য দফতর। গুরুতর রোগী এমনকি করোনা রোগীকে ফেরানো হলে ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্টস অ্যাক্টে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স সাসপেন্ড করা হতে পারে। একই সঙ্গে সরকারি হাসপাতাল রোগী ফেরালে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সার্ভিস রুল অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
পরপর ওই দুটি বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনা আবহে কোনও রোগীকে সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতাল কোনওভাবেই ফেরাতে পারবে না। সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি নিতেই হবে রোগীদের। সরকারি কোনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি রোগী ফেরায়, তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান থেকে দায়িত্ব থাকবেন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। সার্ভিস রুল অনুযায়ী আরও পদক্ষেপও নেওয়া হবে। বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধেও ২০১৭ সালের আইন অনুযায়ী সেই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হতে পারে।
এই নির্দেশ যাতে কার্যকর হয়, তা সরকারি হাসপাতালের সুপারদের নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সাধারণ রোগী ও করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে, সে বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। তা-ও রোগী প্রত্যাখ্যানের অভিযোগে ছেদ পড়েনি।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় লকডাউন ৩১ জুলাই পর্যন্ত, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
সম্প্রতি স্বাস্থ্যভবনে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ জমা পড়ে। বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণও সামনে আসে। এরপরেই এই সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য দফতর। করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ রোগী এবং করোনা রোগীদের জন্য এই জোড়া নির্দেশিকা যথেষ্ট গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি চিকিৎসকমহলের একাংশের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584