তিন মুচলেকা দিলেই মিলবে হোম আইসোলেশন! বিধি ভাঙলেই চিঠি পাঠাবে পুরসভা

0
50

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

শুধু হোম আইসোলেশনে থাকলেই হবে না, মেনে চলতে হবে রোগীর জন্য নির্দিষ্ট নিয়মবিধি। হোম আইসোলেশনে থেকেও নিজের ইচ্ছামত যেমন খুশি ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ উঠছে অনেক আক্রান্তের বিরুদ্ধেই। তাই এবার তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা।

Mask wearing | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

সম্প্রতি পুরসভার এক সমীক্ষা রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে, শহর কলকাতায় হোম আইসোলেশন থাকা করোনা আক্রান্ত রোগীদের অসাবধানতা এবং অসতর্কতায় ছড়িয়ে পড়ছে করোনার সংক্রমণ। তাই এবার আইসোলেশন থাকা আক্রান্তদের বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ নির্দেশিকা।

এই নির্দেশিকা মোতাবেক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি, যারা হোম আইসোলেশনে থাকতে চান তাদের তিনটি সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরে। প্রথমত, একটি আন্ডারটেকিং বা মুচলেকা দিয়ে জানাতে যে তিনি বাড়িতেই সম্পূর্ণরূপে নজরবন্দি থাকবেন। দ্বিতীয়ত, তিনি অসুস্থ হলে কোন চিকিৎসক তার চিকিৎসা করবেন সে বিষয়ে একটি সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ ‘সি-টি ভ্যালু’ র মাধ্যমে উপসর্গহীন করোনা রোগীদের মৃত্যুর হার কমাতে এবার উদ্যোগী স্বাস্থ্য দফতর

তৃতীয়ত, বাড়িতে কে তার দেখাশোনা করবেন সেই সম্পর্কিত আরেকটি সার্টিফিকেট করোনা আক্রান্ত রোগীকে জমা দিতে হবে। এই তিনটি সার্টিফিকেট যদি জমা না দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে করোনা আক্রান্তের হোম আইসোলেশন থাকা সম্পূর্ণ বেআইনি, এমনটাই জানানো হয়েছে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে।

অভিযোগ, প্রায় ৫০ শতাংশ আক্রান্তের পরিবার ঠিকমত নিয়ম মানছে না। এমনকি হোম আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তি বা মহিলাকে বাড়ির ভিতরে অনান্য সদস্যদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে গল্প করতে, টিভি দেখতে বা টেবিলে বসে খেতেও দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ তো আবার বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ছাদে ঘুরেও বেড়াচ্ছেন।

আরও পড়ুনঃ প্রথম সংক্রমণের ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডেই সংক্রামিত ৩৬৪, মৃত্যু ৫! চূড়ান্ত উদ্বেগে পুরসভা

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর পুর প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য অতীন ঘোষ জানান, এই মুহূর্তে শহর কলকাতায় যে সমস্ত ব্যক্তি হোম আইসোলেশন রয়েছেন, তাঁদেরকে সোমবারের মধ্যে চিঠি পাঠাতে চলেছে পুরকর্তৃপক্ষ। এই চিঠিতে লেখা থাকবে, যদি করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি হোম আইসোলেশনে থাকতে চান সেক্ষেত্রে তাদের বাধ্যতামূলকভাবে জমা দিতে হবে এই তিনটি সার্টিফিকেট।

যদি তারা তা জমা না দেন সেক্ষেত্রে স্থানীয় থানা এবং ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের একটি চিঠি দিয়ে জানানো হবে যে এই ব্যক্তিদের হোম আইসোলেশনে থাকার কোন আইনে অধিকার নেই এবং তাকে স্থানীয় হাসপাতালে বা সেফ হোমে। অর্থাৎ তাকে পরিবার থেকে আলাদা করে দেওয়া হবে। কিন্তু এতে কি কাজ হবে? অতীনবাবুর দাবি, সহজে কেউই পরিবারের থেকে আলাদা থাকতে চান না। তাই এতে মানুষ নিয়ম মানতে বাধ্য হবেন। একই সঙ্গে হোম আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিরা যাতে নিজের বাড়ি অন্য সদস্যদের মধ্যে সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, সেজন্য বাড়ির মধ্যে সকলেরই মাস্ক পরে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here