নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
নেলসন ম্যান্ডেলার একটি উক্তি রয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে— স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা সেই ইতিহাসেরই মুখাপেক্ষী হই, রাষ্ট্র যেভাবে আমাদের ইতিহাস পড়াতে চায়। বহু যুগ আগে বলে যাওয়া নেলসন ম্যান্ডেলার বচন যে এখনও সমসাময়িক, তা প্রমাণিত হল আবার।
রাজ্য বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত গুজরাটের রাজনৈতিক ইতিহাস সম্পর্কিত একটি সহায়িকা বইতে ছাপা হয়েছে এমন তথ্য যা ধরাকে সরা জ্ঞান করে। ‘গুজরাট নি রাজকিয়া গাথা’ নামের বইটিতে বলা হয়েছে ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সবরমতী ট্রেনটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ৫৯ জন কর সেবককে হত্যা এবং বীভৎস সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আসলে নাকি গোধরা থেকে কংগ্রেসের নির্বাচিত সদস্যদের পরিচালিত ‘ষড়যন্ত্র’-এর অংশ।
“একটি স্থিতিশীল সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য ২০০২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি একটি ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। অযোধ্যা থেকে ফিরে আসা কর সেবকবাহী সবরমতী (এক্সপ্রেস) ট্রেনের একটি কোচে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৫৯ জন কর সেবককে হত্যা করা হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্রটির পিছনে ছিলেন গোধরা থেকে কংগ্রেসের নির্বাচিত সদস্যরা,” এমনটাই লেখা হয়েছে বইটির একটি অনুচ্ছেদে।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয় এবং বইটির সম্পাদনা করেছেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ এবং বোর্ডের বর্তমান ভাইস-চেয়ারপার্সন ভাবনাবেন দাভে।
বিরোধী কংগ্রেস যদিও এই বিষয়টিকে বিজেপি সরকারের বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থ নির্মাণ বোর্ডের (ইউজিএনবি) গৈরিকীকরণের প্রয়াস বলেই মনে করছে। কংগ্রেস আরও জানিয়েছে যে, গোধরার ট্রেন পোড়ানোর ঘটনায় আদালতের রায়কে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য তারা লেখকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হবে।
২০০২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি গোধরা ট্রেন পোড়ানোর ঘটনা গুজরাটের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সূচনা করে। ওই দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ, যাঁদের অধিকাংশই মুসলমান, নিহত হন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584