নিজস্ব সংবাদদাতা , মুর্শিদাবাদঃ
আবারও মানবিকতার পরিচয় দিলেন জলঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক উৎপল দাস। এবার, মারণ ড্রাগের নেশার হাত থেকে উদ্ধার করে বেশ কয়েক জনকে রিহাবে পাঠালেন ওসি ।
ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় জলঙ্গী থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রামে খুব সহজেই সীমান্ত পেরিয়ে ফেন্সিডিল, হেরোইন, ইয়াবা সহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য অতি সহজে সাধারণ মানুষের হাতে চলে আসে। যার ফলে বাড়তে থাকে কিশোর সহ যুবকদের মধ্যে নেশা সেবনের প্রবণতা।
এমত পরিস্থিতিতে ওসি উৎপল দাসের হাতে নামের তালিকা আসে জলঙ্গী থানা ভাদুরিয়া পাড়া এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যক্তির, যারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরণের নেশা সেবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।
জলঙ্গী থানার ওসি উৎপল দাস ও এস আই মোহাম্মদ খুরশিদ আলমের প্রচেষ্টায় ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের ও তার পরিজনদের জলঙ্গী থানায় ডেকে পাঠানো হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে তাদের সঙ্গে কথা বলার পর তারা জানায় তারা এই নেশার পথ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে তাদের তড়িঘড়ি নদীয়া জেলার তেহট্টের এক নেশা মুক্তি কেন্দ্র পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনঃ শুভেন্দু অধিকারী দলের সাময়িক ক্ষতি করছে, হলদিয়াতে এসে রাজ্য যুব নেতার মন্তব্য
গতকাল আরও দুজন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ওসি উৎপল দাসের প্রচেষ্টায় তেহট্টর নেশা মুক্তি কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তাদের পরিবারের হাতে কুড়ি হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া ওসি জানান, যতদিন না পর্যন্ত তারা সুস্থ হয়ে ফিরে আসছেন ততদিন পর্যন্ত প্রত্যেকের চিকিৎসা খরচ ও তাদের পরিবারের সংসার খরচের দায়িত্ব নেবেন। চিকিৎসার খরচ ও সংসার চালানোর টাকা পেয়ে স্বাভাবিক ভাবে খুশি ঐ সমস্ত পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুনঃ ইসলামপুরে ফেন্সিডিল উদ্ধার, ধৃত ২
পুলিশের এই মহৎ কাজের জন্য ওসি সহ জলঙ্গী থানার সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের সাধুবাদ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। সাংবাদিকদের সামনে ওসি উৎপল দাস জানান, জলঙ্গী থানা এলাকার নেশাগ্রস্ত মানুষদের তিনি তার প্রচেষ্টায় তাদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করবেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584