নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
দূষণ নিয়ন্ত্রণে এবার ব্যবহার করতে হবে আধুনিক প্রযুক্তি। তা নাহলে রাজ্যের কোনও ইটভাটা চালানো যাবে না। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল জানিয়ে দিয়েছে, যে ১২৬২ টি ইটভাটা এখনও আধুনিক ‘জিগজ্যাগ’ প্রকল্প চালু করেনি, ছ’মাসের মধ্যে তাদের তা চালু করতে হবে।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে কমিটি গঠন করে ইটভাটাগুলি পরিবেশের উপর কতটা, কেমন প্রভাব ফেলছে, তা তিন মাসের মধ্যে জানাতে হবে। প্রসঙ্গত, বেঙ্গল ব্রিকফিল্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন জিগজ্যাগ টেকনোলজি নামে পরিচিত আধুনিক পদ্ধতিতে ইট তৈরির প্রকল্প স্থাপনের জন্য এক বছর সময় চায়।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে বাড়ল নার্সিং কলেজের আসন সংখ্যা
উল্লেখ্য, এই বছরের ২৮ জানুয়ারি, ছ’মাসের এমন পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য রাজ্যের ৩৬৭৭ টি ইটভাটাকে পর্ষদ নির্দেশ দিয়েছিল। তার মধ্যে ২৪১৫ টি সংস্থা নির্দেশমতো পদক্ষেপ করেছে। বাকি ১২৬২টি ইটভাটাকে নিয়ে দেখা হয় সমস্যা। তারা এক বছর সময় চেয়ে জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে নয়া পদ্ধতি অনুসরণ করায় বাধা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ খরচ কমাতে নতুন নিয়োগ সংক্রান্ত জোড়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল রাজ্য অর্থ দফতর
কারণ, মাত্র ১৫ শতাংশ লোক নিয়ে ভাটা চলছে। কিন্তু, রাজ্য পর্ষদ সময় না বাড়িয়ে আবেদনকারীকে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করার নির্দেশ দেয়। ভাটার মধ্যে কাঁচা ইটের সারি সাধারণত যেভাবে সাজানো হয়, তাতে দু’টি সারির মাঝে সোজা বা গোলাকার ফাঁকা পথ থেকে। গরম হওয়া চলাচলের জন্য।
কিন্তু, জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে সেই পথ হয় আঁকাবাঁকা। ফলে গরম হাওয়া পথ ধীরে ধীরে অতিক্রম করে। এই পদ্ধতিতে এক নম্বরের ইটের পরিমাণ যেমন ৮০-৯০ শতাংশ হয়, তেমনই পরিবেশ দূষণ অনেক কম হয়। যতদিন যাচ্ছে সমগ্র দেশেই এই পদ্ধতি ধাপে ধাপে চালু হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584