শুভশ্রী মৈত্র, ওয়েব ডেস্কঃ
জোম্যাটো কাণ্ডে ফের টুইস্ট! হিতেশার প্রাক্তন রুমমেটের মন্তব্য,” ফ্রিতে পিৎজা চাওয়া ওর পুরোনো স্বভাব।” গত ৯ মার্চের জোম্যাটো কাণ্ডে হিতেশা চন্দ্রানীর অভিযোগ এরপর থেকে সামনে আসছে একাধিক নতুন তথ্য। হিতেশার অভিযোগ ছিল খাবার ডেলিভারি দিতে এসে ঘুঁষি মেরে তাঁর নাক ফাটিয়ে দেন জোম্যাটোর ডেলিভারি এজেন্ট কামারাজ।
যদিও কামারাজ দাবি করেছিলেন হিতেশা তাঁকে জুতো ছুঁড়ে মেরেছিলেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে হিতেশার বিরুদ্ধে এফআইআর-ও দায়ের করে বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রনিক সিটি থানার পুলিশ। এই বিতর্ককে আরও উসকে দিলেন জসমিন নেহরা নামের এক মহিলা। জসমিন নিজেকে হিতেশার প্রাক্তন রুমমেট বলে পরিচয় দিয়েছেন।
একটি ইউটিউব ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে জসমিন লিখেছেন, বছর তিনেক ধরে তিনি হিতেশার রুমমেট ছিলেন। হিতেশা প্রায়ই ডোমিনোজ ও পিজা হাট থেকে খাবার আনাতেন। সেই সময় তিনি অনেকবারই হিতেশাকে বিনামূল্যে খাবার জোগাড় করার চেষ্টা করতে দেখেছিলেন। ডেলিভারি এজেন্টদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করাও হিতেশার স্বভাব বলে দাবি জসমিনের।
আরও পড়ুনঃ এপ্রিলের শুরু থেকেই বাড়ছে তাজমহলের প্রবেশমূল্য
গত ১০ মার্চ একটি ভিডিও পোস্ট করে ঘটনার কথা প্রকাশ করেন মডেল তথা মেকআপ আর্টিস্ট হিতেশা। অভিযোগ করেন খাবার ডেলিভারি নিয়ে বচসা হওয়ায় ডেলিভারি এজেন্ট কামরাজ মেরে তাঁর নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন। এমনকি নাক থেকে রক্ত ঝরছে সে ছবিও পোস্ট করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই মহিলা ক্রেতার অভিযোগ শুনে ডেলিভারি এজেন্টের বিরুদ্ধেই কথা বলতে থাকেন সকলে। পুলিশ গ্রেপ্তার করে কামারাজকে। এরপর আসতে থাকে ‘কাহানি মে টুইস্ট’।
আরও পড়ুনঃ সুপ্রিমকোর্টে কোরানের বাণী মুছে দেওয়ার আর্জি, রিজভীর সমালোচনায় সরব শাহনওয়াজ
কামারাজ তাঁর বয়ানে জানান, খাবার পৌঁছতে দেরি হওয়ায় টাকা দিতে অস্বীকার করেন হিতেশা এবং অর্ডার ক্যানসেল করতে বলেন। সংস্থা জানায় ক্যানসেল হয়ে গিয়েছে কিন্তু খাবারের প্যাকেটটি ফেরত দিতে হবে। তিনি খাবার ফেরত দিতেও রাজি হননি। উল্টে ডেলিভারি এজেন্টকে রীতিমতো গালিগালাজ করতে থাকেন। কামারাজের অভিযোগ এরপরেই হিতেশা জুতো ছুঁড়ে মারেন তাকে এবং তখনই নিজের হাতের আংটিতেই আহত হন হিতেশা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584