নবনীতা দত্তগুপ্ত, কলকাতাঃ
করোনা আবহে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন জলপাইগুড়ির সব্যসাচী দাশগুপ্ত এবং কলকাতার সংহিতা সাহা দাশগুপ্ত। কলকাতা ছেড়ে জলপাইগুড়িতে পাড়ি দিয়েছেন সংহিতা। নতুন ঠিকানায় বধূবরণের দিনই সংহিতা নিলেন এক মহৎ উদ্যোগ। গ্রীন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে অ্যাম্বুলেন্স কেনার জন্য দিলেন নগদ ৫০০০ টাকা।
প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ি শিল্প সমিতি পাড়ার বাসিন্দা সব্যসাচী দাশগুপ্তর পরিবার৷ সব্যসাচী নিজেও একজন সক্রিয় সদস্য গ্রীন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার৷ আর এবার থেকে তাঁর পাশে থাকবেন তাঁর স্ত্রী সংহিতাও। সব্যসাচীর মা সমিতা দাশগুপ্ত সহ গোটা দাশগুপ্ত পরিবার এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে আবদ্ধ।বছরের বিভিন্ন সময়ে নানান সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকে এই পরিবার। দাশগুপ্ত পরিবারের নতুন সদস্যার এহেন সাধু উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছে ‘গ্রীন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা’।
সংহিতার কথায়- “এই মহামারীর দিনে মানুষের পাশে কোনও না কোনওভাবে দাঁড়াতে পেরে ভাল লাগছে। তবে, তৃপ্ত নই। আরও অনেককিছু করার আছে মানুষের জন্য। সামর্থ অনুযায়ী সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই এগিয়ে আসব। রিসেপশনে কলকাতা থেকে আমার পরিবারের কেউ আসতে পারবে না আজকের এই পরিস্থিতির কারণে। মনটা ভাল নেই তাই। তবে, গ্রীন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মুখে খানিকটা হলেও হাসির ঝলক দেখে কিছুক্ষণের জন্য মনটা ভাল হয়ে গেল আমার।”
আরও পড়ুনঃ ৩১মে পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ডিজিসিএ’র
বলা বাহুল্য, করোনা আবহে সমস্ত সামাজিক বিধি মেনে স্বল্প জনসমাগমে বেহালার একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করেন সংহিতার বাবা সত্যবান সাহা। শুধু তাই নয়, আংশিক লকডাউনের অঙ্গুলিহেলনে রিসেপশনের আয়োজনও স্থগিত রাখলেন সব্যসাচী দাশগুপ্তর বাবা ভাস্করানন্দ দাশগুপ্ত। দুই পরিবারের এই সচেতন সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে নজির বহন করে৷
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584