শুভশ্রী মৈত্র, ওয়েব ডেস্কঃ
জঙ্গলমহলে ভোটপর্ব মিটতেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো। রবিবার ভোরে ঝাড়গ্রামে লালগড়ের বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে এনআইএ-এর ৪০ সদস্যের একটি দল।
২০০৯ সালে লালগড়ের সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনের ঘটনার অভিযোগে এদিন ছত্রধরকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে গ্রেফতারীর পর কলকাতায় আনা হচ্ছে ছত্রধরকে, আজই পেশ করা হবে কলকাতায় এনআইএ-এর বিশেষ আদালতে। এনআইএ-এর অভিযোগ, তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না ছত্রধর। আদালতের নির্দেশেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
পুরোনো মামলাগুলিতে এনআইএ-এর তদন্তে অসহযোগিতা করলে গ্রেপ্তার হতে পারেন ঝাড়গ্রামে জনসাধারণ কমিটির প্রাক্তন নেতা তথা বর্তমানে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো, এমন আশঙ্কা ছিলই।
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে , ১৬, ১৮ এবং ২২ মার্চ ছত্রধর মাহাতোকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও হাজিরা দেননি তিনি। এরপর ২৬ মার্চ আবার ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। ওইদিন টানা প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করেন এনআইএ তদন্তকারীরা। কিন্তু রবিবার ভোরে হঠাৎই তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুনঃ ধর্ষণ মামলায় বেকসুর খালাস প্রাক্তন বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দ
ছত্রধর মাহাতো মূলত দুটি মামলায় অভিযুক্ত – ২০০৯ সালে রাজধানী এক্সপ্রেসে নাশকতার চেষ্টা এবং ওই বছরেই লালগড়ে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো হত্যা করা। দুটি মামলাতেই দীর্ঘ সময় পরে তদন্তের দায়িত্ব যায় এনআইএ-এর হাতে। এরপর ছাত্রধরকে বেশ কয়েক দফায় জেরাও করেন এনআইএ আধিকারিকরা। এরপর ছত্রধরকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয় এনআইএ।
আরও পড়ুনঃ নরেন্দ্র মোদীর সফর ঘিরে প্রতিবাদের জেরে বাংলাদেশে বন্ধ ফেসবুক পরিষেবা
গত ২২ অক্টোবর এনআইএ-এর বিশেষ আদালত নির্দেশ দেয়, ছত্রধর সহ অন্য অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করেছিল ঝাড়গ্রাম নিম্ন আদালত , একারণে তাঁদের জামিন খারিজের জন্যও এনআইএ-কে আবেদন করতে হবে সেখানেই।
এরপরই ছত্রধরকে হেফাজতে নিতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করে এনআইএ। কিন্তু প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এনআইএ-এর সেই আবেদন খারিজও হয়ে যায়। তবে তাতেও রেহাই মিলল না ছত্রধর মাহাতোর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584