উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
খাগড়াগড়কাণ্ডের মূল চক্রী জইদুল ইসলাম ওরফে কওসর, ওরফে বোমারু মিজানের সাজা ঘোষণা করল এনআইএ-এর বিশেষ আদালত। তাকে ২৯ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল এনআইএ -এর বিশেষ আদালত। কওসরকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা-সহ একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা কওসর। সে দেশে ২০১৫ সালের বিস্ফোরণেরও অন্যতম অভিযুক্ত। খাগড়াগড়কাণ্ডের পাশাপাশি বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণও ঘটিয়েছিল এই কওসর। খাগড়াগড়কাণ্ডে মোট ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করল এনআইএ-র বিশেষ আদালত।
২০১৪ সালের ২ রা অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে ঘটে বিস্ফোরণ। ঘটনার তদন্তে নেমে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের যোগসূত্র পায় এনআইএ। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের পর বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছিল কওসর। ফের ভারতে চলে আসে সে। ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরুতে কওসরকে পাকড়াও করেন গোয়েন্দারা।
খাগড়াগড় কাণ্ডে একত্রিশ জনের মধ্যে ৩০ জনের সাজা ঘোষণা আগেই হয়েছে। এবার কওসরকে ২৯ বছরের জেলের সাজা দেওয়া হল। খাগড়াগড়ের পাশাপাশি, বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণেও জড়িত রয়েছে কওসর। প্রসঙ্গত, বীরভূমে কওসরের একটি বাড়িও রয়েছে। সেখান থেকেই একটা সময় এই রাজ্যের সংগঠন চালাত সে। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও বর্ধমানের বিভিন্ন মাদ্রাসাতে গোপনে অস্ত্র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল কওসর।
আরও পড়ুনঃ খয়েরবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ ঠিকাদারদের
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বর্ধমানের খাগড়াগড়। তারপরই ঘটনার তদন্তে নামে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা(এনআইএ)। জানা যায়, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে কুখ্যাত বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ। এদিকে, বিস্ফোরণের পরই বাংলাদেশে পালিয়ে যায় কওসর। সেখান থেকে ফের জঙ্গি কার্যকলাপ শুরু করে সে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে মনে করে আবারও ভারতে চলে আসে ওই জঙ্গি। তারপরই ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরুতে রীতিমতো ফাঁদ পেতে কওসরকে ধরেন এনআইএ গোয়েন্দারা। জানা যায়, কওসর জেএমবি-র উজির পদে ছিল।
আরও পড়ুনঃ বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের নবান্ন অভিযান আটকাল পুলিশ
সংগঠন তৈরি করে নাশকতা চালানোয় পারদর্শী কওসর বেশ কিছুদিন ধরেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। কেরলে তার এক সঙ্গী ধরা পড়তেই আরও বিপাকে পড়ে যায় সে। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার ঘুরে বেঙ্গালুরুতে আত্মগোপনের চেষ্টা চালায় সে। তবে বিশেষ ফল হল না। প্রত্যেকটি রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই কওসরের খোঁজে ছিল এনআইএ। সে যে নজর এড়িয়ে বেঙ্গালুরুতে রয়েছে, এনআইএ-কে খবরটি দিয়েছিল ওই রাজ্যের পুলিশ। তারপরই বোমারু মিজানকে গ্রেফতার করে এনআইএ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584