দক্ষিণ ভারতে সক্রিয় আইএসআইএস গোষ্ঠী ঘনিষ্ঠ আল হিন্দ, চার্জশিট পেশ এনআইএ-র

0
94

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

বিশ্বের বেশিরভাগ জায়গাতেই ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটি ধ্বংস করা হলেও করোনা মহামারীর লকডাউন ব্যবহার করে যে ভিতরে ভিতরে তারা সংগঠন মজবুত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তার প্রমাণ আগেই পেয়েছিল এনআইএ।

NIA office | newsfront.co
ফাইল চিত্র

এবার চার্জশিট পেশ করে এনআইএ দাবি করল, দক্ষিণ ভারতের গভীর জঙ্গলগুলিতে ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে আইএসআইএসের ভারতীয় শাখা আল হিন্দ জঙ্গি সংগঠন। সম্প্রতি এই জঙ্গি সংগঠনের ১৭ জন সদস্যের বিরুদ্ধে তৈরি করা চার্জশিটে এমন তথ্য তুলে ধরেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। এটা যে জাতীয় সুরক্ষার পক্ষে যথেষ্ট উদ্বেগজনক সে কথাও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, বেঙ্গালুরুর মেহবুব পাশা ও তামিলনাড়ুর কুড্ডালোরের খাজা মইদীনের নেতৃত্বে ২০ জন জঙ্গির একটি দল কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কেরলের গভীর জঙ্গলগুলিতে ২০১৯ থেকে ঘাঁটি তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ হাথরাসে অভিযুক্তদের সমর্থনে বিক্ষোভ ঠাকুর সম্প্রদায়ের

তাদের উদ্দেশ্য পূরণ হওয়ার আগেই গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে ২০ জনের মধ্যে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরেই তাদের জেরা করে তাদের পরিকল্পনার কথা জানতে পারে এনআইএ গোয়েন্দারা।

বিশেষত, পূর্বভারতে এনআইএর বাড়বাড়ন্ত নজরদারি থাকায় দক্ষিণ ভারত কে অনেকদিন আগে থেকেই সেফ জোন হিসেবে বেছে নিয়ে সেখানে নিজেদের সংগঠন মজবুত করার চেষ্টা চালাচ্ছিল জঙ্গিরা।

আরও পড়ুনঃ দেশ রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে- হাথরাসে প্রতিবাদে পথে নেমে হুঁশিয়ারি মমতার

ওই চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালে মেহবুব পাশা আরও চার জন আইএসআইএস জঙ্গিকে নিয়ে কর্ণাটকের শিবসমুদ্র এলাকার জঙ্গলে গিয়ে ঘাঁটি তৈরির উপযুক্ত জায়গার সন্ধান চালায়।

যেখানে গোপন একটি ঘাঁটি তৈরি করে সমস্ত আল হিন্দ জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ভারতে প্রথম ইসলামিক স্টেটের মুক্তাঞ্চল বানানোর ছক ছিল তাদের। এর জন্য তাঁবু, রেনকোট, স্লিপিং ব্যাগ. দড়ি, ল্যাডার, তিরধনুক, আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি, আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ এবং জঙ্গলে ব্যবহারকারী জুতো-সহ শক্তিশালী আইডি বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জামও জোগাড় করেছিল।

আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের বেসরকারিকরণ নীতির বিরুদ্ধে ভারত বনধ

জঙ্গি ঘাঁটির তৈরি উপযুক্ত জায়গার সন্ধানে আল হিন্দের সদস্যরা কর্ণাটকের কোলার ও কোডাগু-সহ একাধিক জায়গা, গুজরাটের জাম্মুসার, মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি, অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর এমনকী পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান ও শিলিগুড়িতে খোঁজ চালিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

তাদের নেতৃত্ব দিয়েছিল বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা মেহবুব পাশা এবং কুদ্দালোরের বাসিন্দা খাজা মইনুদ্দিন। খাজা তার জমি বিক্রি করে জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য টাকা দিয়েছিল। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানীয় বিক্ষোভে অংশ নিয়ে সাধারণ মানুষকে তাদের সংগঠনে শামিল করার চেষ্টা চালিয়ে যেত এই জঙ্গী আল হিন্দ সংগঠন এমনটা জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here