দত্তকের নামে শিশু পাচার, আটক হাওড়ার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মিনতি অধিকারীর পুত্রবধূ

0
87

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ

ফের অবৈধ ভাবে দত্তক দেওয়ার নামে শিশু বিক্রির অভিযোগ উঠলো হাওড়ার সালকিয়ার একটি বেসরকারি হোমের বিরুদ্ধে। এমনকি শিশুদের যৌন নিগ্রহেরও অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি এই হোম কর্তৃপক্ষের একাংশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ৯ জন। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন হাওড়ার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মিনতি অধিকারীর পুত্রবধূ এবং দেবকুমার ভট্টাচার্য নামে এক সরকারি আধিকারিক, তিনি সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিক।

child trafficking
প্রতীকী ছবি

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, হাওড়ার সালকিয়ার ঐ বেসরকারি হোমের সব থেকে বড় বৈশিষ্ট হলো এখান থেকে নিঃসন্তান দম্পতিরা অনলাইনেই শিশু সন্তান দত্তক নিতে পারতেন । এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ সেই সুযোগকে হাতিয়ার করেই শিশুবিক্রির চক্র চালাচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন। শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন চলত বলেও অভিযোগ উঠেছে হোমটির বিরুদ্ধে।

হোমটি সম্পর্কে বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়ে নবান্নে, এরপর সরাসরি নবান্নের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে হাওড়া সিটি পুলিশ। হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার সি সুধাকরের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী শুক্রবার রাতেই অভিযান চালায় ওই হোমে। ৯ জনকে পুলিশ আটক করে এই ঘটনায়। তাদের মধ্যে রয়েছেন হাওড়ার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মিনতি অধিকারীর পুত্রবধূ গীতশ্রী অধিকারী এবং দেবকুমার ভট্টাচার্য নামে সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিক। অভিযুক্তরা আইনানুগ শাস্তি পাবে বলেই জানিয়েছেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা।

আরও পড়ুনঃ BSF-এর সীমা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ ইস্যুতে ফের প্রকাশ্যে রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বৈরথ

২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ঠিক এমনই এক চাঞ্চল্যকর শিশু পাচারের মামলার তদন্তে নেমেছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল সিআইডি। তাঁদের কাছে খবর আসে উঃ ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার এক নার্সিং হোম থেকে চলছে শিশু পাচার চক্র। প্রথমে সেখানে অভিযান চালান সিআইডির গোয়েন্দারা, দেখা যায় ঘটনার জাল বিস্তৃত কলকাতার বেশ কয়েকটি নার্সিং হোমেও। সমস্ত জায়গায় অভিযান চালায় সিআইডি, গ্রেপ্তার হয় মোট ১৯ জন। তার মধ্যে ছিলেন ডাক্তার, নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ সহ আরো অনেকেই।

আরও পড়ুনঃ কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ২০০- র বেশিই, বাড়ল পজিটিভিটি রেট

৯০ দিনের মধ্যে তদন্তের চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি। সে মামলা এখনো বিচারাধীন। ইতিমধ্যে একজন অভিযুক্ত বয়সজনিত অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছেন, বাকিরা সকলেই জেলে। এই মুহূর্তে হাওড়া হোম কাণ্ডের জালও ঠিক কতটা গভীরে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here