কার্ত্তিক গুহ,ঝাড়গ্রামঃ
শিলদা সিআরপিএফ ক্যাম্পে মাওবাদীদের আক্রমণে নিহত শহীদ জওয়ানদের স্মৃতিতর্পণ ও শোক প্যারেড সহ নানা অনুষ্ঠান পালন করল ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলা।এছাড়াও পুলিশের উদ্যোগে ম্যারাথন দৌড়,সিআরপিএফ বনাম ঝাড়গ্রাম পুলিশের ভলিবল,স্থানীয় দুঃস্থ মানুষজনদের বস্ত্রবিতরণ, দুঃস্থ মানুষদের বসিয়ে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল।
শনিবার শিলদার সিআরপিএফ ক্যাম্প হামলার নবমবর্ষ পুর্তি উপলক্ষে হাজির ছিলেন রাজ্য পুলিশের আইজি ( পশ্চিমাঞ্চল) রাজীব মিশ্রা, ডিআইজি ( মেদিনীপুর রেঞ্জ) বাস্তব বৈদ্য,ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সহ জেলা পুলিশ ও সিআরপিএফের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। এদিন আইজি পশ্চিমাঞ্চল রাজীব মিশ্রা শিলাদার যে ইএফআর ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা সেই ক্যাম্পে অস্থায়ী শহিদবেদীতে মাল্যদান করেন।
পরে বর্তমান রাজ্যপুলিশের ক্যাম্পে শহিদের স্মৃতির উদ্দেশ্য ২৪ টি গাছে জল দেন।রাজ্যের আইজি(পশ্চিমাঞ্চল) রাজীব মিশ্রা বলেন,আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি শিলদার পবিত্র ভূমিতে আমরা একত্রিত হয়েছি সিআরপিএফ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে।
আরও পড়ুনঃ মাওবাদী হামলায় স্বজনহারা পরিবারের অবস্থান বিক্ষোভ
আজ থেকে ৯ বছর আগে ২০১০ সালে মাওবাদীরা এই শিলদা ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল।তাতে আমাদের ২৪ জন জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন।জওয়ানদের প্রতিরােধে পাঁচ জন হামলাকারী মাওবাদী মারা গিয়েছিল এবং কিছু জন আহত হয়েছিল।
আমাদের শহীদ ভাইদের জন্য মাওবাদীরা একাজে সফল হতে পারেনি।সিআইডি এই কেসে চার্জশিট পেশ করেছে। যে সমস্ত মাওবাদী এই কেসে যুক্ত ছিল তারা আত্মসমর্পণ করেছে।সবচেয়ে গৌরবের কথা জঙ্গলমহল ও শিলদার নাগরিকবৃন্দ হিংসা রক্তপাত বন্ধ করে পুলিশের সাহায্যে এই পবিত্র ভূমিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন।
আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আত্মসমর্পণ এবং পুনর্বাসনের নতুন নীতি নিয়েছেন।তার জন্য মাওবাদী হিংসা ত্যাগ করে তারা সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসছে।আমি আপনাদের কাছে আবেদন করছি যারা এখন আত্মসমর্পণ করেনি, তারা আত্মসমর্পণ করে সমাজে শান্তি সুখে বসবাস করুক।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584