নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
করোনা আবহে কার্যত তলানিতে দেশের অর্থনীতি। জিডিপি নেমেছে মাইনাস ৭.৩ এ। অতিমারীকালে দেশের অর্থনীতিকে কিছুটা অক্সিজেন জোগাতে ‘ রিলিফ প্যাকেজ’ ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন। করোনার প্রথম ঢেউ সামলাতেও রিলিফ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তবে তার পরেও ঘোরানো যায়নি অর্থনীতির চাকা। তাই এবারের রিলিফ প্যাকেজে রয়েছে আরো বেশ কিছু বহুমুখী ঘোষণা।
কোভিড পরবর্তী রিলিফ ফান্ড সংক্রান্ত ঘোষণা:
◆ স্বাস্থ্যখাতে ৫০ হাজার কোটি টাকা ঘোষণা করলো অর্থমন্ত্রক। বর্তমান অর্থবর্ষে শিশুদের চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নতিতে বিশেষ নজর দিচ্ছে অর্থমন্ত্রক। পেডিয়াট্রিক বেড ও অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ২৩ হাজার ২২২ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করেছে অর্থমন্ত্রক। পাশাপাশি এই টাকা পাঠরত চিকিৎসকদের ও আইসিইউ বেড এবং অক্সিজেন জোগানেও ব্যবহৃত হবে।
◆ করোনায় প্রভাবিত ক্ষেত্রগুলির জন্য ১.১ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ ঘোষণা অর্থমন্ত্রকের।
◆ এমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিমে বাড়ানো হল বরাদ্দ । এই প্রকল্পে ক্ষুদ্র আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে ২৫ লক্ষ গ্রাহককে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে। এই খাতে আগে বরাদ্দ ছিল ৩ লক্ষ কোটি টাকা এবারে তা বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লক্ষ করেছে কেন্দ্র।
◆ অন্যান্য খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। এই খাত থেকে বার্ষিক ৮.২৫ %সুদে ঋণ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক।
◆ করোনা পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে পর্যটন শিল্পের। তাই কেন্দ্র ও রাজ্য দ্বারা স্বীকৃত ট্যুর গাইডদের ও ভ্রমণ সংস্থাগুলিকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন। প্রাথমিক কিছু শর্ত পূরণ করলে ১০০ শতাংশ গ্যারান্টিতে মিলবে এই খাতে ঋণ। তা ছাড়া প্রথম ৫ লক্ষ ট্যুরিস্ট ভিসা বিনামূল্যে দেবে কেন্দ্র।
◆ আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনা ২০২১ সালের ৩০ জুন থেকে বাড়িয়ে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
◆ বৃদ্ধি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার সময়কাল। এই প্রকল্পে ২ লক্ষ ২৭ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা ঘোষণা অর্থমন্ত্রকের।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে বিধিনিষেধ বাড়ল ১৫ জুলাই পর্যন্ত, বাস পরিষেবা চালুর ঘোষণা মমতার
সাংবাদিক সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন জানিয়েছেন, ৮. ৮৫ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। পুষ্টিকর খাদ্যদ্রব্যে ভর্তুকি ২৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা করেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি ১৪ হাজার ৭৭৫ কোটি অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। যার মধ্যে ৯ হাজার ১২৫ কোটি টাকা ডিএপির জন্য ও ৫ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা এনপিকে জাতীয় সারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584