নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
গোটা দেশ যখন পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে চিন্তিত, সেই পরিস্থিতিতে বুধবার লোকসভায়, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানালেন, সরকার পেঁয়াজের দাম কমানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে তিনি এমন একটি পরিবার থেকে এসেছেন যেখানে খুব বেশি পেঁয়াজ এবং রসুন খাওয়ার চল নেই এবং তিনি নিজেও খাবারে পেঁয়াজ রসুন খেতে বিশেষ পছন্দ করেন না।
দেশজুড়ে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে সভায় বিতর্ক চলাকালীন সীতারমন তাঁর খাওয়ার অভ্যাসের বিষয়ে মন্তব্য করার পর সুপ্রিয়া সুলে, সভায় এনপিএ এবং পেঁয়াজ চাষীদের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন। সুলে বলেন, চাল, দুধ এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী বেশিরভাগই রপ্তানিযোগ্য। পেঁয়াজ উৎপাদনকারীরা মূলত ক্ষুদ্র কৃষক। তাই তাদের রক্ষা করা বিশেষভাবে প্রয়োজন।
वित्त मंत्री प्याज़ नहीं खातीं! आप लोग भी मत खाइये। क़िस्सा ख़त्म। #OnionPrices pic.twitter.com/6j1RBOcXcH
— Sukesh Ranjan (@RanjanSukesh) December 4, 2019
আরও পড়ুনঃ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উদ্ধার পনেরশো বোতল ফেনসিডিল
বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ না খাওয়ার বিষয়ে সংক্ষিপ্ত মন্তব্যের পর সীতারামন পেঁয়াজ চাষীদের সুবিধার্থে সরকারের নীতিমালাটি ব্যক্ত করেন। বুধবার সীতারমন লোকসভায় বলেন যে, পেঁয়াজের দাম বাড়ার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং গুদামে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্যও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবস্থা করতে চলেছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সাল থেকে তিনি যে সকল দলের হয়ে মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করেছিলেন, তারাও পেঁয়াজের বাজারভিত্তিক উন্নতি এবং অবনতির বিষয়ে নিরীক্ষণ চালিয়েছিল। সেক্ষেত্রে উৎপাদিত পেঁয়াজ উদ্বৃত্ত হলে তার জন্য রাতারাতি রপ্তানির ব্যবস্থা করার আদেশও পাশ হয়েছে।
২০১০-২০১৮ সাল পর্যন্ত অনুদানের জন্য প্রথম কিস্তির পরিপূরক দাবির বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে সীতারমন আরও বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ার বড় কারণ হল, চাষ এবং উৎপাদন ক্ষেত্র হ্রাস পাওয়া। এতে উৎপাদন কমে যাওয়ায় অনেক স্থানে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ১০০ টাকাও ছাড়িয়ে গেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584