নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এমন কঠিন সময়েও অব্যাহত রাজ্য-রাজনীতির তরজা। বাংলায় দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের দুই সাংসদ।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়েও শাহের কাছে বিস্তর অভিযোগ জানান বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। এমনকী পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আবেদনও করেন এই দুই বিজেপি সাংসদ।
সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন যে, ‘বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। আমাদের দলের কর্মীদের মেরে ঝুলিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল। তারপর সেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরুর আগেই পুলিশ বলে দিচ্ছে এগুলো আত্মহত্যা। তাই আমরা কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারক লিপি দিলাম ও সম্প্রতি বাংলায় দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছি।’
আরও পড়ুনঃ নাগরিক ক্ষোভ প্রশমনে ভালো কাজ করায় পুরস্কৃত পশ্চিমবঙ্গ সরকার
প্রসঙ্গত, গত বুধবার দিঘায় বিজেপি কর্মী পূর্ণচন্দ্র দাসের দেহ উদ্ধার হয়। তারপরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপে গৌতম পাত্রের দেহ উদ্ধার ঘিরেও চাঞ্চল্য ছড়ায়। গৌতম বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত। এ দুই বিজেপি কর্মীকেই খুন করে শাসক দল তৃণমূল দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। তবে, সব অভিযোগ নস্যাৎ করেছে তৃণমূল। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ দাবি, গরুর সঙ্গে ‘অস্বাভাবিক শারীরির সম্পর্ক’কে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের উপহাসেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন গৌতম পাত্র।
আরও পড়ুনঃ ই-দর্শন আর মন্দিরে যাওয়া এক নয়ঃ সুপ্রিম কোর্ট
এদিকে শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের মৃত বিজেপি কর্মী পূর্ণচন্দ্র দাসের বাড়িতে যাওয়ার সময় মাঝপথেই পুলিশি বাধার মুখে পরেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। রাস্তায় দাঁড়িয়েই সায়ন্তন অভিযোগ করে বলেন, ‘আগে থেকে জানিয়ে নিহত কর্মীর বাড়িতে যাচ্ছি, তাতেও আটকাচ্ছে পুলিশ।’
শুধু এই ঘটনাই নয়। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের আর্জিও জানান সাংসদরা। সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, ‘তৃণমূল আমলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। যতদিন যাচ্ছে রাজ্যের অবস্থা তত খারাপ হচ্ছে। তাই আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বাংলায় ৩৫৬ ধারা বলবৎ করার দাবি করেছি। সংবিধানের এই ধারাকে ব্যবহার করে রাজ্য সরকারের হাত থেকে স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত পরিষেবাগুলো কেড়ে নিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হোক, এতে বহু মানুষ বেঁচে যাবেন।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584