মোহনা বিশ্বাস, ওয়েবডেস্কঃ
ঘূর্ণিঝড় আমপানের দাপটে বিপর্যস্ত কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। বুধবার পশ্চিমবঙ্গ উপকূলবর্তী এলাকা দিয়ে তীব্র গতিতে বয়ে যায় প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমপান। এই বিধ্বংসী ঝড়ের জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মাটি সুদ্ধু উপড়ে গিয়েছে বহু গাছ। উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুৎ খুঁটিও। তার সমেত মাটিতে মিশে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। ভেঙে পড়েছে অধিকাংশ কাঁচা বাড়ি।

আমপানের প্রকোপে তছনছ হয়ে গিয়েছে বহু গ্রাম। এই দুর্যোগের কারণে তিন দিন ধরে বিদ্যুৎহীন দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। এমনকী কলকাতাতেও অনেক জায়গায় ফেরেনি বাতি। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় পাম্প চালানো সম্ভব হচ্ছে না, তাই জলও নেই। জলের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে। জল সঙ্কটে পড়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অনেকোই। এই পরিস্থিতিতে কোনো আশার কথা শোনাতে পারলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে হেলিকপ্টারে করে কাকদ্বীপ যান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকানোর প্রতিবাদে পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি বিজেপি কর্মীদের
হেলিকপ্টারে ওঠার আগেই সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘শহরে সাত দিন লাগবে। গ্রামে কতদিন লাগবে আমি জানি না।’ পরিস্থিতি যে রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে এদিন তাও স্বীকার করেন মমতা। বলেন, ‘১৭৩৭ সালের পর এই রকম ঝড় হল। একটু সহ্য করতে হবে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। কিন্তু সবটা আমাদের হাতে নেই।’
সিইএসই-র অধীনে যে সব ঠিকাদারি সংস্থার কর্মীরা বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার কাজ করেন, লকডাউনের জেরে তাঁদের অনেকেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তাঁদের ফিরিয়ে এনে কাজে নামানোর চেষ্টা চলছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। শুধু যে আমজনতাই সমস্যায় পড়েছেন তা একেবারেই নয়। ঘূর্ণিঝড় আমপানের জেরে সমস্যায় পড়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও। এদিন তিনি বলেন, ‘আমার ফোনও কাজ করছে না। মুখ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584