নেই সেতু, ঝুঁকির পারাপার রণডিহায়

0
66

সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ

মুমূর্ষু রোগী বা প্রসূতিকে নদী পেরিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে ভরসা খেয়া নৌকো। অন্ধকার নামলে বন্ধ হয়ে যায় সেই পথটুকুও। খেয়া পারাপার যেমন ঝুঁকিপূর্ণ তেমনি সন্ধ্যার পরে নৌকা মেলে না। ফলে রাত-বিরেতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, সর্পদষ্ট বা প্রসূতিকে নিয়ে নদী পার হওয়ার কোনও উপায় থাকে না। অনেক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হওয়ার কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে এমন নজিরও রয়েছে।

নিজস্ব চিত্র

রনডিহার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানো হলেও সেতু তৈরি নিয়ে কোন হেলদোল প্রশাসনের নেই। ফলত ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী ও পড়ুয়াদের। এলাকার মানুষের বক্তব্য, ভারী বৃষ্টিতে নৌকায় পারাপার করতে ভয় লাগে। তাছাড়া সেতু তৈরি হলে বাঁকুড়া থেকে যাঁরা রণডিহা আসেন পিকনিক করতে তাঁরাও উপকৃত হবেন । ভরতপুরে বৌদ্ধ স্তূপ সহ সিলামপুরের বিভিন্ন এলাকাজুড়ে পর্যটন শিল্পে উন্নতি হত । রনডিহার মানার এক ব্যবসায়ী জানান, সেতু না থাকায় চাষের ফসল নিয়ে যাওয়া নিয়ে বিশেষ সমস্যা হয়। মানায় বাদাম সহ বিভিন্ন সব্জির চাষ সাথে সাথে ব্যাপক ভাবে ফুল চাষ হয় কিন্তু নদী পেরিয়ে ওই পাড়ে নিয়ে যাওয়া বেশ ব্যায়বহুল। রনডিহায় ব্যাবসা করতে আসেন বাঁকুড়ার সোনামুখির বাসিন্দা গণেশ ঘোষ। তিনি বলেন, সেতু নেই। নৌকায় নিত্যদিন আসা ঝুঁকিপূর্ণ। সেই ঝুঁকি আরো বেড়ে যায় আবহাওয়া খারাপ থাকলে। অথচ সেতুটি তৈরি হলে চাকতেঁতুল, রণডিহা থেকে শুরু করে বুদবুদ, পারাজের বাসিন্দারা উপকৃত হতেন। স্থানীয় বাসিন্দা উৎপল বন্দোপাধ্যায় জানান, সেতু তৈরি হলে প্যাকেজ ট্যুর হিসেবে রণডিহা, ভরতপুর হয়ে পানাগড় যাওয়া সহজ হবে। এতে পর্যটকরা উপকৃত হবেন। চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতকে জিজ্ঞাসা করা হলে বিষয়টি বাঁকুড়া প্রশাসন দেখে বলে জানানো হয়।

আরও পড়ুনঃ বিষ মদ কান্ডের ঘোষিত সাজাতে সন্তুষ্ট নয় আক্রান্তরা

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here