শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের আনা বিতর্কিত কৃষি আইন কে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশের কৃষি সমাজ। দীর্ঘ ১ বছরের লাগাতার আন্দোলনের কাছে চাপে পড়ে এবং সামনে উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, ত্রিপুরা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে গুরু নানকের জন্মদিনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৌখিক ঘোষণার পর খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে মন্ত্রী সভা থেকে শুরু করে লোকসভায় এই কৃষি আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাশ করান।
কিন্তু কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরও কিছুতেই বিরোধীরা এই ইস্যু টিকে হাতিয়ার করতে ছাড়ছে না। এদিন সাংসদে কৃষি আইনের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল-কংগ্রেস-অন্যান্য দলের বিরোধী নেতারা, চলমান কৃষি আন্দোলনে নিহত ৭০০ কৃষকদের পরিবার কে মাথাপিছু ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ এবং কৃষক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী যে কৃষকদের বিভিন্ন রাজনৈতিক রং চড়িয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, তাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি তোলেন।
এছাড়াও বিরোধীরা বলেন, সরকার যদি আগেই এই বিতর্কিত আইন প্রত্যাহার করে নিত, তাহলে এমন কৃষক মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো না। তাই তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পাশাপাশি বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য বরুণ গান্ধীর মতো কিছু বিজেপি সাংসদ বিরোধীদের সুরে সুর মিলিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধেছে এবং বিরোধীদের দাবীকে সমর্থন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ দেশজুড়ে এনআরসি চালুর বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি, লোকসভায় জানাল সরকার
বিরোধীদের এই দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র তোমার বুধবার সাংসদে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, কেন্দ্রের কাছে কৃষক আন্দোলনে কোন কৃষক মারা গেছে এমন কোন খবর বা তথ্য নেই। তাই কোন রকম অনুদান বা সাহায্যের কথা উঠে না। কৃষি মন্ত্রীর লিখিত বয়ানটি পর্যালোচনা করলে স্পষ্ট বোঝা যায়, কৃষক মৃত্যুর ব্যাপারটি পুরোপুরি অস্বীকার করছে।
আরও পড়ুনঃ ভীমা কোরেগাঁও মামলায় সুধা ভরদ্বাজের জামিন মঞ্জুর করল বম্বে হাইকোর্ট
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584