নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
আন্দোলনেই আছেন কৃষকরা, নেই কোনও উদযাপন। পাতিয়ালা থেকে আসা এক কৃষক কাশ্মীর সিং বললেন, এই বছর নতুন বছরে কোনও উৎসব পালন করছেন না তাঁরা। সরকার এখনও কৃষি আইন প্রত্যাহার করেনি, আন্দোলন চলাকালে ৪২ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজকের দিনে শহীদ হওয়া কৃষকদের স্মরণ করবেন তাঁরা।
সিঙঘু সীমান্তে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিবাদ স্থলে কীর্তন নিয়ে বেড়িয়েছেন ছ-সাত জন কৃষক। তাঁরা সকলেই জানিয়েছেন তাঁরা নতুন বছরে তাঁদের পরিবারের থেকে দূরে আছেন, কষ্ট পাচ্ছেন পরিবারের কথা ভেবে কিন্তু কিছুতেই প্রতিবাদ মঞ্চ ছাড়বেন না। বরং নতুন বছরে আরও কঠিনভাবে কৃষি আইন বিরোধী প্রতিবাদ জারি রাখবেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ শাহিনবাগের দাদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলিউড অভিনেত্রী গাল গ্যাডট
অখিল ভারত কৃষক ক্ষেত মজদুর সংস্থার কৃষকদের আরও একটি দল কেন্দ্র এবং কৃষি আইনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বর্ষবরণ পর্ব শুরু করেন। এর মধ্যে ছিলেন পাঞ্জাবের ফিরোজপুরের বাসিন্দা জসবীর সিং। তিনি বলেন, এই সময় পাঞ্জাবে পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারলে ভাল লাগত, তাঁরাও শখ করে আন্দোলনে নামেননি কেউই, সকলেই চান ঘরে ফিরে যেতে। কিন্তু এই প্রতিবাদ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্র যদি তাঁদের সহায়তা না করে তবে প্রয়োজনে তাঁরা পরের বছরও এখানেই থাকবেন।
কৃষকরা গুরু গোবিন্দ সিং ও তাঁর ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ২ জানুয়ারি একটি নগর কীর্তনের আয়োজন করেছেন, তার জন্য একটি পালকিও প্রস্তুত করেছেন তাঁরা। জানালেন, “আমরা আজ উদযাপনে বিশ্বাস করি না। আমাদের ভাই-বোনরা ফুলের মালা তৈরি করছেন এবং পালকিকে ফুল দিয়ে সাজাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ এইচ-১বি ভিসায় নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বৃদ্ধি ট্রাম্প প্রশাসনের
আগামীকাল সকাল ১০ টায় আমরা একটি নগর কীর্তন করব। আমরা বিক্ষোভের ১৫ কিলোমিটার কভার করে আবার ফিরে আসব।“ জানালেন রনধীর সিংহ। যিনি পরিবারের সঙ্গে ইংল্যান্ডে থাকেন। কিন্তু এই বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্যই দেশে এসেছেন। ২০ দিন ধরে সিংঘু সীমান্তে অবস্থান করা রণধীর বলেছিলেন যে তিনি অন্যান্য কৃষকদের সঙ্গেই কালো আইন- এর বিরুদ্ধে স্লোগান দেবেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584