ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্ট:
দেশব্যাপী পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার কথা উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
সেগুলো হলো-
১)পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে ট্রেন বা বাস ভাড়া- কোনটাই নেওয়া যাবে না। রেলের ভাড়ার ভাগ রাজ্য সরকারকেও নিতে হবে।
২) যতদিন পর্যন্ত না তারা ট্রেন বা বাসে চাপতে না পারছে ততদিন পর্যন্ত আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলি খাবার পরিবেশন করবে।
৩) পরিযায়ী শ্রমিকরা যে রাজ্যের বাসিন্দা ট্রেন যাত্রাকালে সেই রাজ্য তাদের জল ও খাবারের খরচ বহন করবে।
৪) রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেন যাত্রাকালে পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার পরিবেশন করবে। বাসেও খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫)রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানেইই নাম নথিভুক্তকরণ (রেজিস্ট্রেশন) সম্পন্ন করিয়ে বাস বা ট্রেনে চাপানোর ব্যাপার নিশ্চিত করতে হবে।
৬) যদি দেখা যায় কোন পরিযায়ী শ্রমিক হেঁটে চলেছে, তাদেরকে তৎক্ষণাৎ আশ্রয় খাবার ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের জাস্টিস অশোক ভূষণ, জাস্টিস এসকে কউল ও জাস্টিস এমআর শাহ-এর বেঞ্চ
আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকের তথ্য রাখা, তাদের নিজ জন্মস্থানে যাওয়ার পরিবহন ব্যবস্থা, পরিবহনের পরিকল্পনা, নাম নথিভুক্ত করণের পদ্ধতির ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কেন্দ্র সরকারকেও নির্দেশ দেয়। এছাড়াও এই বেঞ্চ জানায় যে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যখনই ট্রেন চাওয়া হবে তখনই রেল মন্ত্রককে ট্রেনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
আরও পড়ুন:“আমরা কিভাবে তাদের হাঁটা আটকাবো?”: শ্রমিকদের ব্যাপারে শীর্ষ আদালত
প্রথম দিকে তেমন উৎসাহ না দেখালেও দেশব্যাপী পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা দেখে গত ২৬শে মে সুপ্রিম কোর্ট স্বতপ্রণোদিত ভাবে মামলা করে।পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা দূর করতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে ঐদিন কেন্দ্র, রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে নোটিস দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে সিনিয়র আইনজীবী ডি দাভে ও সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সহ বেশকিছু প্রাক্তন বিচারপতি ও সিনিয়র আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে মুখর হন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584