নিউজডেস্ক, কলকাতা:প্রাথমিকের প্রশিক্ষণরত ছাত্রছাত্রীরা আদালতের দারস্থ হয়েছিল আসন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় তাদের বসার ছাড়পত্র চেয়ে। তাদের অভিযোগ ছিল যে,সরকারী গাফিলতির কারনেই তাদের প্রশিক্ষণ বিলম্বিত হয়েছে। তাই এই টেট পরীক্ষায় বসার অধিকারী তাঁরা।
আদালতের রায় ঘোষনার পূর্বেই সরকার সিদ্ধান্ত পরির্বতন করে ফেলেছে এবং সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা স্বীকার করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জানান যে, যাঁরা ডি এড প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন,তাঁরাও টেট পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়েগের টেট পরীক্ষায় বসার যোগ্যতা হিসাবে বিজ্ঞাপনে ঘোষনা করা হয়েছিল যে উচ্চমাধ্যমিক ও সমতুল পরীক্ষায় পঞ্চাশ শতাংশ নম্বর অথবা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং দুই বছরের প্রশিক্ষণ। গোল বাধে এই প্রশিক্ষণ নিয়েই কারন 2015 শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছাত্রীরা অভিযোগ করে যে সরকারি দীর্ঘসূত্রীতায় তাদের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হয় নি তাই তাদের এই পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে।আন্দোলনের পাশাপাশি আদালতের দারস্থ হয় পরীক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী পরীক্ষার্থীদের দাবী যে যৌক্তিক তা প্রমান হওয়ার পূর্বেই সরকার বেগতিক বুঝে এই সিদ্ধান্ত বদল করে।পার্থ বাবুর কথাতেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়। তিনি বলেন, পর পর মামলায় ক্ষতি হচ্ছে চাকরীপ্রার্থীদের।শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও বিলম্ব সরকার বরদাস্ত করবে না।
আগামী 15 নভেম্বর এই সিদ্ধান্ত বদলের প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারির জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই দিন থেকেই প্রশিক্ষণরত রা আবেদনের সুযোগ পাবেন বলেও জানানো হয়েছে।
আইনি জটিলতায় জর্জরিত শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে এই সিদ্ধান্ত বদল মমতা সরকারের।
ছবি :সংগৃহীত
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584