শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
এমন নির্দেশ কি দিতে পারে স্বাস্থ্য দফতর! বুধবার মুশির্দাবাদ মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপির স্বাক্ষরিত এমনই একটি চিঠি সকলের সামনে আসতেই হুলুস্থুলু পড়ে যায় চিকিৎসক মহলে। ওই চিঠিতে বিভিন্ন চিকিৎসকদের ডিউটি ভাগ করে দেওয়ার পাশাপাশি কারোর করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলেও তা না লেখার জন্য রয়েছে নির্দেশ। আবার তলায় এমএসভিপি দেবদাস সাহার স্বাক্ষর।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ওই চিঠি এমএসভিপির ব্যক্তিগত নির্দেশ বলে ব্যাখ্যা করে তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে বদলি করল স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তথা ভাইস প্রিন্সিপল দেবদাস সাহাকে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে অ্যানেস্থিওলজি বিভাগের প্রফেসর হিসেবে পাঠানো হয়েছে। আর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি-র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওই মেডিক্যাল কলেজেরই প্রফেসর শর্মিলা মল্লিককে।
প্রসঙ্গত, ২৬ এপ্রিল দেবদাসবাবুর স্বাক্ষরিত এই চিঠিটি সকলের সামনে প্রকাশ্যে আসে। সেখানে পরিষ্কার তিনি চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছেন, করোনায় মৃত্যু হলেও তা ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা যাবে না। বিষয়টি গোলমেলে মনে হয় ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদেরই। খোদ স্বাস্থ্য দফতরে যেখানে ডেথ অডিট কমিটি রয়েছে, সেখানে করোনায় মৃত্যুর তথ্য গোপনের নির্দেশ কিভাবে দিলেন এমএসভিপি, তাও আবার সরকারি নথিতে! অনেকেই সরাসরি স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের চিঠিটি দিয়ে কারণ জানতে চান। এই অভিযোগে নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। দেবদাস সাহার বিরুদ্ধে তথ্য লোপাটের অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। তিনি তাঁর বদলির দাবি করেন।
এর পরেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে দাবি করা হয়, চিঠিটির ওই অংশ এমএসভিপি ব্যক্তিগত ভাবে লিখেছেন। সরকারি ভাবে এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ওই এমএসভিপি দেবদাস সাহাকে আপাতত বদলি করে দেওয়া হয়েছে। কেন তিনি এমন করলেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584