ঘোষিত সরকারি প্যাকেজে ভরসা নয়, হাঁটাপথে বাড়ির দিকে অভুক্ত শ্রমিকেরা

0
37

ওয়েবডেস্ক, নিউজ ফ্রন্টঃ

লকডাউনের জেরে বন্ধ সমস্ত যান চলাচল। বন্ধ হয়েছে নিজেদের কাজও। জীবিকার তাগিদে বহু মানুষ দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় এসে ভীড় জমান। কিন্তু লকডাউনের জেরে সব স্থগিত। বন্ধ পরিবহন ব্যবস্থা।

দিল্লি থেকে অনেকেই রওনা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ বা রাজস্থানের দিকে, কেউ আবার গুজরাট। সাথে রয়েছে মহিলা ও শিশুও।

lockdown |newsfront.co
চিত্র সৌজন্যঃ বিবিসি

সংবাদ সংস্থা বিবিসি প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে জানা যায়, অনেকে রাজপথে গাঁট বোচকা, ব্যাগ-সুটকেস মাথায় দল দলে হাঁটছে।

people |newsfront.co
চিত্র সৌজন্যঃ বিবিসি

আরও পড়ুনঃ জনবহুল ভারতে আগামী তিনমাসে করোনা সংক্রমণ দাঁড়াবে ১২কোটিতে দাবি সমীক্ষা রিপোর্টের

প্রকাশিত সংবাদেই জানা যায়, কোলের বাচ্চা-সমেত পাঁচ জনের একটি পরিবার কথা তারা এদিন যাচ্ছিল দিল্লি থেকে আলিগড়। রীতিমতো ধুঁকতে ধুঁকতেও জাতীয় সড়কের এক পাশে দাঁড়িয়ে পরিবারের বউটি জানায়, ‘পৌঁছে আমরা নিশ্চয় যাব, হ্যাঁ, সময় লাগবে, কষ্টও হবে, দুটো পুরো দিন হয়তো লেগে যাবে।শনিবার ভোরের দিকে গাঁয়ে চলে যেতে পারব বলে আশা করছি।”

worker | newsfront.co
চিত্র সৌজন্যঃ বিবিসি

তার জা আবার পাশ থেকে যোগ করেন, ‘দিল্লিতে যার পকেটে পয়সা নেই, সে কী খাবে বলুন তো? পেটে কি কিল মেরে থাকবে? গ্রামে গেলে অন্তত রুটি আর চাটনি তো আশা করি পাব।’ তার স্বামীরও আক্ষেপ, ‘এভাবে পথে নেমে পড়া ছাড়া কোনও উপায় নেই, কারণ দিল্লি শহরে কেউ কাউকে দেখে না।’

তবে তাদেরকে পথে খাদ্য ও টাকা দিয়ে সাহায্য করছেন কর্মরত অনেক পুলিশকর্মীরাও। খাবার না পেলে কোথাও আবার জল খেয়েই দিনযাপন করতে হচ্ছে ওদের।

কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার এই শ্রমিকদের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করলেও তারা কেউই সরকারি সাহায্যের ভরসায় অপেক্ষা করতে পারেননি।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ঘোষণা অনুযায়ী, এই অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য ও শহর ও গ্রামাঞ্চলের গরিব মানুষের জন্য বরাদ্দ হয়েছে মোট ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার সহায়তা প্যাকেজ। এই শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে তা নগদ ট্রান্সফার করা হবে, তেমনি তাদের খাদ্য নিরাপত্তার দিকটাও দেখা হবে বলে। একই সাথে নির্মলা দেবী বলেন, সরকার চায় না এদেশে কেউ ক্ষুধার্ত থাকুক।

কিন্তু সরকারের এই ঘোষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যতটা সময় লাগবে, কোটি কোটি গরিব শ্রমজীবী মানুষের অভুক্ত পেট ততক্ষণ ধৈর্য রাখতে পারছে না।

আর এ কারণেই মরিয়া হয়ে তারা নেমে পড়েছেন রাজস্থান থেকে বিহার, কিংবা পাঞ্জাব থেকে উত্তরপ্রদেশের পথে সুদীর্ঘ পদযাত্রায়!

তবে করোনাভাইরাসের আগে অনাহারেই না মরতে হয়, সেই আতঙ্কেই আতঙ্কিত সকল শ্রমিকেরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here