নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি শনিবার ঘোষণা করেছেন চলতি বছরের মে মাস থেকে বিহারে এনপিআর-এর কাজ শুরু হবে। জানা গেছে, জেডইউ-এর সম্মতিতে মে মাসের ১৫-২৪ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন হবে এনপিআর-এর কাজ।
বাংলা, কেরলে এনআরসি, এনপিআর-এর কাজ স্থগিত রাখা হবে তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথমদিকে বাকি বিরোধী দলগুলির মতো বিজেপি জোট জেডিইউ-ও এনআরসি-র প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বেঁকে বসেছিল। কিন্তু পরে নীতিশ কুমারের দল এনপিআর-এর কাজে সম্মতি দেওয়ায় একটু নিশ্চিন্ত হয়েছে বিজেপি।
শনিবার রাজ্যে এনপিআরের দিনক্ষণ ঘোষণা করে উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি বলেন, “এনপিআর আইনী প্রক্রিয়া। প্রত্যেক রাজ্যই এটা করতে বাধ্য। কোনও সরকারি কর্মী এনপিআর-এর বিরোধিতা করতে পারবেন না। এনপিআর না করতে বললে আইনে তিন বছরের শাস্তির মেয়াদ রয়েছে। এছাড়া বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশই আর্থিক জরিমানারও সংস্থান রয়েছে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ২০১৮-১৯-এর বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এনপিআর হল এনআরসি-রপ্রথম ধাপ। যদিও দেশ জুড়ে এনআরসি, এনপিআর এবং সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ বিভীষিকা কিছুটা স্তিমিত করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মাঝে বলেছিলেন এনপিআর এর সঙ্গে এনআরসি-র কোনও সম্পর্কই নেই। এই নিয়ে দেশ জুড়ে নতুন করে এক দ্বন্দ্বময় পরিস্থিতির উদ্রেক হয়েছিল।
ইতিমিধ্যেই কেরলে পিনারাআই বিজয়ন বিধানসভায় এন আর সি বিরোধী প্রস্তাবনা পাশ করিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন যে কোনও রাজ্যেরই এনপিআর-এর বিরোধিতা করার ক্ষমতা নেই। এনপিআর-এর বিরোধিতা সংবিধান বিরোধী। এদিকে এনপিআর-এ প্রশ্নমালা এবার এবার ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২১ করা হয়েছে। বিরোধীদের কটাক্ষ সরিয়ে সুশীল মোদি বলেন, “এটা প্রত্যেকবারই বদল করা হয়। নতুনত্বের কিছু নেই।”
অন্যদিকে জেডিইউ মুখপাত্র কেসি ত্যাগী বলেন, “জনগণনার বিষয় হিসাবে ২০১০-এ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলেই এনপিআর-এর সূচনা হয়েছিল। তবে এনআরসি-র জন্য এনপিআর না করা হলে আমাদের আপত্তির কিছু নেই। এছাড়া আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিকে আমরা সম্মান করছি। তবে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আগেই জানিয়েছেন বিহারে এনআরসি হবে না।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584