এনআরসি হবেই, বলছে সিএএ নিয়ে প্রকাশিত বিজেপির বাংলা সংস্করণের পুস্তিকা

0
118

নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ

সিএএ নিয়ে রবিবার রাজ্যে পুস্তিকা প্রকাশ করল বাংলার গেরুয়া বাহিনী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ একাধিকবার বলেছেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে রাজ্যে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে।

nrc will implement publish on bjp bengal booklet | newsfront.co
প্রকাশিত পুস্তিকার বাংলা ও হিন্দি সংস্করণ। চিত্র সৌজন্যঃ ইয়াহু নিউজ

তাঁরা বলেছেন মানুষকে জেচে পড়ে ভুল বোঝাচ্ছে তৃণমূল। তাই বাংলার মানুষদের সিএএ নিয়ে সঠিক ভাবে গাইড করতে প্রকাশিত হল এই পুস্তিকা। এখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা রয়েছে সিএএ বাস্তবায়নের পরে দেশে এনআরসি লাগু করা হবে।

পুস্তিকায় বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই অসমে এনআরসি বাস্তবায়িত হয়েছে এবং কংগ্রেস সরকারের আমলেই এই ফরেনার্স অ্যাক্ট পাস হয়েছিল। রবিবার মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য দফতরে এই পুস্তিকা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।

আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদে জেএনইউ-এর বর্বরোচিত অাক্রমনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এসএফআই-এর

জাতীয় গণমাধ্যম সূত্রে খবর, হিন্দি এবং বাংলা এই দুটি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে এই পুস্তিকা। বাংলা পুস্তিকাটিতে এনআরসির উল্লেখ থাকলেও হিন্দিতে তা নেই। ‘বাংলায় এনআরসি হবে না’- সদর্পে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে কী এই পুস্তিকা প্রকাশ করে পাল্টা জবাব দিল বিজেপি—প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ২৩ পাতার এই পুস্তিকার একদম শেষের পাতায় লেখা, “এরপর কি তবে এনআরসি হবে? কতটা প্রয়োজন সেটা? যদি এনআরসি হয় তবে আসামের মতো হিন্দুদেরও কী আটক কেন্দ্রগুলিতে যেতে হবে? উত্তরে লেখা আছে, ” হ্যাঁ, এর পরে এনআরসি কার্যকর করা হবে। অন্তত কেন্দ্রীয় সরকারের মনোভাব সেই রকম। তার আগে, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে এনআরসি-র কারণে কোনও হিন্দুকেই ডিটেনশন সেন্টারে যেতে হবে না। ফরেনার্স অ্যাক্ট-এর কারণে ১১ লাখ হিন্দু আসামের আটক কেন্দ্রে রয়েছেন।”

আরও পড়ুনঃ জেএনইউ ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দিবস কর্মসূচি ডিএসও-এর

তবে হিন্দি ভাষায় প্রকাশিত পুস্তিকায় এনআরসি-র উল্লেখ নেই। একই বিষয়ের উপর ছাপানো পুস্তিকার এরকম রকমফের কেন, তার জবাবে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “বাংলায় এই পুস্তিকাটির হিন্দি অনুবাদ নয়। বাংলায় সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে বহু বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। সুতরাং, পুস্তিকাটির বাংলা সংস্করণে এনআরসি পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে লেখা আছে যে এনআরসি বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্বানুমতি নিয়েই।”

পুস্তিকাটিতে বলা হয়েছে, “আসামের বিজেপি সরকার এনআরসি আনেনি। বরং এনআরসির বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যাঁরা অসমে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি রয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকে ক্যাব পাশ হওয়ার পর অতি সত্বর মুক্তি পাবেন আশা করা যায়।” সেখানে আরও বলা হয়েছে, ‘অসম ও পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে কম করে দু’কোটি অনুপ্রবেশকারী ভারতে আছেন বলে শোনা যায়। তাদের ডি-ভোটার (ডাউটফুল বা সন্দেহভাজন ভোটার) করে দেওয়া প্রয়োজন। সেই কারণেই এনআরসির প্রয়োজন দেশের।”

যদিও তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বলেন, “এখন ব্যাগ থেকে বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। বিজেপির নীতির সত্যতা বেরিয়ে এসেছে সামনে। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি যে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এনআরসি নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। দেশ ও রাজ্যের মানুষ তাঁদের উপযুক্ত উত্তর দেবেন।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here