মনিরুল হক, কোচবিহারঃ

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসার খরচে ছাড় পাচ্ছেন না কোচবিহারের সিতাইয়ের এক বাসিন্দা। সঞ্জীব বর্মণ নামে ওই বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী সীমা দাস বর্মণ জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কোচবিহার শহরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। তাঁদের স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড আছে বলে জানালে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ওই কার্ডে চিকিৎসা করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়ে দেন।

কিন্তু রোগীর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক থাকায় নিরুপায় হয়ে সেখানেই অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। এই মুহূর্তে সীমা চিকিৎসায় সারা দিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা ওই পরিবারের পক্ষে লক্ষাধিক টাকা শোধ করে রোগীকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে সীমার স্বামী সঞ্জীব বর্মণ জানিয়েছেন।

সঞ্জীব বলেন, “আমি ভিন্ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করি। স্ত্রীর অসুস্থতার কথা জেনে তড়িঘড়ি চলে আসি। ফলে আমার কাছে কোন রকম টাকা জমানো নেই। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে বিনা খরচে চিকিৎসা হবে ভেবে এসেছিলাম। কিন্তু নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ প্রথমেই না করে দেয়। শুধুমাত্র স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য নিরুপায় হয়ে টাকা দিতে রাজি হয়ে ভর্তি করাই। কিন্তু এখন আর টাকা পরিশোধ করতে পারছি না। কালকের মধ্যে টাকা শোধ করে স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যাবো কি করে, তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছি।“
আরও পড়ুনঃ সকালে দিলীপের চমকের ইঙ্গিত, দুপুরে রাজীবের তৃণমূল ত্যাগ
ওই নার্সিংহোমের ম্যানেজার বলেন, “স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় আসার জন্য আমরা ইতিমধ্যেই প্রসেসিং শুরু করে দিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই প্রকল্পের আওতায় আসি নি। আমরা ওই রোগীর ভর্তির সময় জানিয়ে দিয়েছিলাম। তখন চিকিৎসার খরচ বহন করতে রাজিও হয়েছিল। কিন্তু এখন বলছে তাঁদের কাছে টাকা নেই।“
কোচবিহারে একাধিক নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডে চিকিৎসা না করানোর অভিযোগ উঠছে।
এই নিয়ে জনমানসে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই দাবি করেছেন, প্রশাসন এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকারি এই সুযোগ মানুষের কাছে পৌঁছে দিক। এখন দেখার প্রশাসন এব্যাপারে কি ভূমিকা নেয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584