নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
হ্যাঁ, ছায়া তার নাম। সে আলোর ছায়া, সে আলোর ছায়াসঙ্গী, সে ঐন্দ্রিলা বসু। বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আলো ছায়া’ ধারাবাহিকের সেকেন্ড লিড চরিত্র ছায়া।
ধারাবাহিকের শুরু থেকে এতদিন সোজাসাপ্টা পজিটিভ রোলে ছিল ছায়া থুড়ি ছিলেন ঐন্দ্রিলা বসু। এবার একটু রদবদল। পাল্টে গিয়েছে ছায়ার স্বভাব চরিত্র। না, সে ঠিক নেগেটিভ নয়। সে অতিমাত্রায় পজিটিভ। শুধুমাত্র বাবান অর্থাৎ নিজের স্বামীর প্ররোচনায় তার স্বভাবে ঘটেছে বদল। এতদিন যে আলোকে সে নিজের সবটা মনে করত আজ সেই আলোকেই প্রতি পদক্ষেপে ভুল বোঝে। নিজের স্বামীর দোষ তার চোখেই পড়ে না। বাবানের কূটনৈতিকতার শিকার ছায়া। আর সেটা তাকে কিছুতেই বোঝাতে পারছে না আলো।
ধারাবাহিকের গল্প এমন জায়াগায় এসে ঠেকেছে যে ছায়াকে যেতে হল শ্রীঘরে। নিজের এই পরিণতির জন্য সে আলোকেই দায়ী করে। দর্শক খুব ভাল করে জানে আসল দোষী বাবান। বাকিটা জানতে হলে ধারাবাহিকটি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করা ছাড়া উপায় নেই।
ছায়ার জীবনের এই অদ্ভুত পরিবর্তনের কথা মাথায় নিয়েই নিউজ ফ্রন্ট ঐন্দ্রিলা বসুর সঙ্গে আড্ডা জমায় দূরভাষে। তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতার হুবহু প্রশ্নোত্তর পর্ব রইল আপনাদের জন্য।
নিউজ ফ্রন্টঃ ছায়া চরিত্রটা কেন তোমার কাছে স্পেশাল?
ছায়াঃ স্পেশাল এই কারণে- আমার আগের দুটো কাজ মানে ‘স্বপ্ন উড়ান’ এবং ‘শুভদৃষ্টি’র থেকে এটা একেবারে আলাদা। এখানে আলো এবং ছায়া দুজনেই লিড। সুতরাং একটা চ্যালেঞ্জ তো থেকেই যায় নিজেকে সকলের কাছে কতটা জনপ্রিয় করে তুলতে পারব সেটা নিয়ে। কারো আলোকে বেশি পছন্দ কারো আবার ছায়াকে। ফলে, নিজেকে দর্শকের পছন্দের করে তুলতে একটা তো চাপ থেকেই যায় মনে মনে।
নিউজ ফ্রন্টঃ এই মুহূর্তে ছায়া চরিত্রে একটা আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। সেটা নিয়ে কী বলবে?
ছায়াঃ বাপ রে! ছায়ার চরিত্রের এই আমূল পরিবর্তন আমাকে বেশ বড় চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে। এতদিন মানুষ এক ভাবে আমায় দেখেছে, ভালোবেসেছে। এখন আরেকভাবে চিনছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে দেখতে পাচ্ছি অনেকের কাছে অপছন্দের হয়ে উঠেছে ছায়া। তাঁরা আমায় হাতের নাগালে পেলে কী করবে কে জানে! আগের ছায়া আর আজকের ছায়ার ভিতরে যে পরিবর্তনের ছায়া তোমরা দেখছ সেটা করতে গিয়ে নিজেকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। আগে একরকমভাবে কথা বলতাম, এখন আরেক রকমভাবে কথা বলি। আগে আলো আমার সব ছিল। এখন বাবান ছাড়া আমি কিছুই বুঝি না। এমনকী আলোকেই আমি সবথেকে বড় শত্রু মনে করি।
২) নিউজ ফ্রন্টঃ ছায়াকে কিন্তু নেগেটিভ বলা যায় না।
ঐন্দ্রিলাঃ একদমই বলা যায় না। ছায়া আলোকে ভুল বুঝছে। আর সেটা বাবানের জন্য। ছায়া তো কোনওদিনই আলোকে শত্রু ভাবেনি বা প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেনি যেরকম সাধারণত আমরা দেখে থাকি ‘তুতো ভাইবোনদের মধ্যে। ছায়া আজ আলোকে ভুল বোঝে। কিন্তু তার ক্ষতি চায় না যেমনটা কোনও অ্যান্টাগনিস্ট চায়। ছায়া আগে আলোকে ভালোবাসত। সেটা তার একটা পজিটিভ দিক ছিল। এখনও অবশ্য সে ভালোবাসে আলোকে। আবার সে বাবানকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে সেটাও তার আরেকটা পজিটিভ দিক। সুতরাং নেগেটিভ তো একেবারেই না।
নিউজ ফ্রন্টঃ অফস্ক্রিনে তোমাদের কেমেস্ট্রি কেমন?
ঐন্দ্রিলাঃ ভীষণ ভাল। মাত্র ছয়-সাত মাস হল একসঙ্গে কাজ করছি। তার আগে তো সেভাবে আলাপ ছিল না। আমাদের খুব ভাব। এই রাখিতে আমি আমার ভাইয়ের জন্য যেমন রাখি কিনেছি দেবাদৃতার (আলো) জন্যও কিনেছি। ও একদম স্বাস্থ্য সচেতন নয়। খেতে চায় না। ব্রেকফাস্ট করে না। আমি বলে বলে করাই। খাওয়াতেই ওর যত অ্যালার্জি।
নিউজ ফ্রন্টঃ পছন্দের চরিত্র?
ঐন্দ্রিলাঃ আমি নিজে যেমনটা নই তেমন কোনও চরিত্র পেলে আনন্দিত হব৷ আমি নিজে খুব বাবলি ক্যারেক্টারের। এরকমটা চাইছি না। এরকম তো ছায়া। আমি একটু রিজার্ভ, একটু সিরিয়াস, অ্যাম্বিশিয়াস কোনও ক্যারেক্টার চাই। যেটা মানুষ দেখার জন্য মুখিয়ে থাকবেন।
আরও পড়ুনঃ বন্ধু দিবসে হাজির অদিতি মুন্সির কণ্ঠে ভাটিয়ালি ‘সোনা বন্ধুরে’
নিউজ ফ্রন্টঃ সেটা কি খানিকটা আলোর মতো কোনও চরিত্র?
ঐন্দ্রিলাঃ খানিকটা বলতে পারো। তবে, পুরোটা নয়।
নিউজ ফ্রন্টঃ ছায়া চরিত্রটা করে কেমন সাড়া পাচ্ছ?
ঐন্দ্রিলাঃ আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় সবসময় অ্যাকটিভ থাকি না৷ থাকা সম্ভব নয়। তবে, কদিন আগে একবার ফেসবুকে আলো ছায়া গ্রুপে হানা দিয়েছিলাম। দেখলাম মানুষ কত কথা লিখছে এখন আমায় নিয়ে। অনেকে রেগেও আছে। ওই যে বলছিলাম হাতের নাগালে পেলে তারা কী করবে আমায় কে জানে।…
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584