পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
বিশ্বভারতীর শতাব্দী প্রাচীন বটগাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়ল প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে। আর তাতেই মন খারাপ ছাত্র-ছাত্রীদের। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর বুধবার সকাল বেলায় নিরাপত্তা কর্মীদের নজরে আসে সাঁচি স্তুপের আকারে ঘন্টা তলার উপরে এই বটগাছটি ভেঙে পড়ে গেছে।
এরপরই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় গাছটি কেটে ফেলা হবে। কিন্তু বিশ্বভারতীর অধ্যাপক থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রী প্রত্যেকেরই দাবি এই শতাব্দীর প্রাচীন বটগাছ টি পুনরায় স্থাপন করে বাঁচিয়ে রাখা যেত ঠিক যেমনটা কলকাতায় করা হয়। তাতে সামান্য ডালপালা ছাটা হলেও আহত বটগাছটি পুনরায় প্রাণ ফিরে পেত। কিন্তু বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর চোখ রাঙানির জন্য ঘন্টা তলার বটগাছের স্মৃতিটুকু রক্ষা করার কথা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না বহু অধ্যাপক যারা বট গাছের নীচে ছাত্র থেকে শিক্ষক প্রত্যেকেই মধুর সময় ব্যয় করেছেন।
আরও পড়ুনঃ চিকিৎসা মিললেও প্রতিবেশী রাজ্যের কোভিড কেস কাউন্ট হবে নাঃ মুখ্যমন্ত্রী
ইতিমধ্যে ঘন্টা তলার বটগাছের স্মৃতি নিয়ে ফেসবুকে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র- ছাত্রীরা স্মৃতিচারণা করছেন। বর্তমানে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর আশ্রম চত্বরকে পুরো তালাবন্দী করে ফেলেছেন। কিন্তু এই ঘণ্টা তলার বটগাছের পাশ দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রাক্তন আচার্যরা পায়ে হেঁটে প্রতিক্ষণ ঘুরেছেন আম্র কুঞ্জ, গৌড় প্রাঙ্গণ, ছাতিমতলা, উপাসনা গৃহ।
আরও পড়ুনঃ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে ফের মমতাকে প্রশ্ন রাজ্যপালের
অধ্যাপকদের একাংশের আক্ষেপ নিরাপত্তার অজুহাতে যেভাবে বিশ্বভারতীর আশ্রম চত্বরকে গৃহবন্দী করে ফেলা হয়েছে তার জন্য আশ্রম চত্বরের ভেতরে কি হচ্ছে সেটা তাদের পক্ষে জানা সম্ভব হচ্ছে না যা অত্যন্ত দুঃখজনক। শেষবারের মতো একবার চোখের দেখাও দেখা হলো না ছায়াসঙ্গী সেই শতাব্দী প্রাচীন ঘন্টা তলার বটবৃক্ষটিকে ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584