অর্পিতা দত্ত,উত্তর চব্বিশ পরগনাঃ
আশির দশকে বাম আমলে কংগ্রেসী ঘরানায় যে-একঝাকঁ তরুন আদর্শবান কর্মী উঠে এসেছিলেন কবীর রায়(ভাই দা)ছিলেন তাদেঁর অগ্রগন্য।রাজ্যশাসনে কংগ্রেসকে আনতে জীবন হাতে করে রাস্তায় নেমেছিলেন কবির রায়।বাম আমলে শাসকের মতিগতিমাফিক তোয়াজ না করেই নির্মোহ ভাবে সত্যিটা মেলে ধরতেন এই জনপ্রিয় কংগ্রেস কর্মী।তখন সহায় ছিলনা,সম্বল ছিলনা কিন্তু সাহস ছিল তুমুল।তাই রুখে দাঁড়িয়েছিলেন বাম আমলের অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।সে কারনে জেলেও যেতে হয়েছিলো তাঁকে।তবুও থেমে থাকেননি।এহেন লড়াকু কবির রায়ের হাত কাঁপছে।কিন্তু মুখে অমলিন হাসি নিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।
শরীরে এক ফালি মলিন কাপড় ঢেকে হাসপাতালের বেডে শুয়ে অধুনা তৃনমূল কর্মী একাকিত্বের যন্ত্রণায় ফ্যালফ্যাল করে বন্ধুজনের প্রতিক্ষায় দিন-রাত কাটাচ্ছেন।বন্ধুরা ভুলেই গিয়েছেন এই আদর্শবান তৃনমূল কর্মীকে।বছর দু’য়েক আগে তাঁর স্ত্রী সুপর্না রায় দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। কবির রায়ও প্যানক্রিয়াসে মারনব্যাধিতে আক্রান্ত। তাঁদের একমাত্র মেয়ে মামাবাড়িতে মানুষ হচ্ছে।কবির রায়ের মারন ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানতে পেরে এই প্রতিবেদক গিয়েছিলেন হাসপাতালে।প্রতিবেদককে দেখেই মৃত্যুপথযাএী কবির রায়ের চোখ ঝাঁপসা হয়ে এলো।চোখের কোনে চিকচিক করে দেখা গেল জল।এত যন্ত্রণাকর অবস্থার মধ্যেও খোঁজ নিলেন,রাজ্যের রাজনীতির খুটিনাটি।খোঁজ নিলেন, তাঁর প্রিয় নেতা বিধায়ক নির্মল ঘোষ ও পানিহাটীর পুরপ্রধান স্বপন ঘোষের।এও জানাতে ভুললেন না পুরপ্রধানের সাহায্যের কথা।এই আদর্শবান তৃনমূল কর্মীর বাড়ি পানিহাটী পুরসভা এলাকার ১০ নং ওয়ার্ডের আগরপাড়া ২ নং মহাজাতি নগরে।তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন।কবির বাবু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ করেন।শরীরে মারন রোগ বাসা বাঁধায় আর কাজে যেতে পারছেননা।ফলে বেতনহীন হয়ে পড়েছেন।চিকিৎসাও প্রায় থমকে।এই আদর্শ বান রাজনৈতিক কর্মীকে এখনও কিছুদিন বাঁচানো যেতে পারে-যদি সকলে রাজনীতির ভেদাভেদ ভুলে তাঁর পাশে অকৃএিম সহযোগীতা হাত বাড়িয়ে দেওয়া যায়।সকলে তাঁর পাশে দাঁড়ালে এই মরণাপন্ন রাজনৈতিক কর্মী মনে সাহষ ও নতুনভাবে বেঁচে থাকার রসদ পায়।
পানিহাটীর অনেকেই আজ পৌরপিতা হয়ে বহাল তবিয়তে আছেন।মহাজাতি এলাকার পৌরপিতারা কি জানেন,আপনাদের এক সময়ের সংগি আজ মৃত্যুপথযাএী?তবে ১০ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন পুরপিতা প্রবির মজুমদার কবিরের পাশে আছেন।শুধু প্রবির বাবু একা দাঁরালে হবে কি?বাকিরা কোথায়?কবির নিজেও জেনে গিয়েছেন আর সময় নেই।জীবন আর মৃত্যু একই কথার নামান্তর।জন্ম হলে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। তবুও কি তার একসময়কার সংগিরা আজ তার মৃত্যু পরোয়ানাকে উপেক্ষা করে তাকে বলতে পারেননা -ভয় নেই কবির আমরা তোমার পাশেপাশেই আছি।আদর্শবান তৃনমূল কর্মী কবির রায় এখন বন্ধুদের মুখ থেকে সেই আওয়াজ সোনার প্রতিক্ষায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584