অতিমারী কালে ভালোবাসায় ঘর বাঁধল ৬৬’র তরুন ৬৩’র স্বপ্নার সাথে

0
63

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ

করোনার থাবায় যখন প্রিয়জনকে হারিয়ে দুঃখে কাতর মানুষ, এমন দুঃসময়ে প্রেম এলো দুই প্রবীণের জীবনে। কলকাতারই ৬৬ বছরের ‘যুবক’ তরুণকান্তি পাল এবং ৬৩ বছরের ‘যুবতী’ স্বপ্না রায়, গত ২৫ নভেম্বর ছোট ঘরোয়া অনুষ্ঠানে প্রেমকে পরিণতি দিলেন। এমন দুঃসময়ে মধ্যেও এরকম খবর যেন দখিনা বাতাস।

wedding ceremony | newsfront.co
বিবাহ বন্ধনে তরুন স্বপ্না

তরুণবাবুর ছেলে সায়ন পাল এই বিয়ের অনুঘটক, তিনিই গত ২৭ নভেম্বর বিয়ের কথা টুইট করেন। তিনি জানিয়েছেন, দু’বছর আগেও একই গ্রামে বসবাস সত্ত্বেও একে অপরকে চিনতেন না তরুণ ও স্বপ্না। সায়ন জানিয়েছেন, ভট্টনগরে রামকৃষ্ণ মিশন মঠে মা সারদার জন্মবার্ষিকী উদযাপনের সময় দু’বছর আগে প্রথম আলাপ হয় দুজনের। তারপর ফোনেই কথাবার্তা হত তাঁদের।

সায়নের কথা থেকেই জানা গিয়েছে ওনার মা মারা গিয়েছেন এবং সায়ন কানাডা প্রবাসী, স্বাভাবিক ভাবেই খুবই একাকিত্বে ভুগতেন তাঁর বাবা। পরে বুঝতে পারেন স্বপ্নাই হলেন দ্বিতীয় মহিলা যাঁর সঙ্গে তাঁর বাবা এতটা মিশতে পেরেছেন। ‘সোলমেট’ বোধহয় একেই বলে।

আরও পড়ুনঃ ত্রিশ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্যের মুখোমুখি দু’শো মিলিয়ন দাবি সমীক্ষায়

রামকৃষ্ণ মিশন মঠে সারদা মায়ের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের সময় দু’বছর আগে প্রথম আলাপ হয় দুজনের, এরপর ধীরে ধীরে কথাবার্তা যত এগিয়েছে সম্পর্কও এগিয়েছে দু’জনের। তারপর একদিন স্বপ্নাদেবীই বিয়ের প্রস্তাব দেন আর তাতে রাজি হয়ে যান তরুণবাবু।

করোনা কালেই দুজনে একে অপরের প্রেমে পড়েন এবং দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। একে অপরের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানোর এটাই সঠিক সময়, জানান সায়ন। ঘনিষ্ঠ বৃত্তের মধ্যে ঘরোয়া অনুষ্ঠানে সারা হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। তরুণবাবু ও স্বপ্নাদেবী কেউই জানেন না এই অতিমারী আবহেকে কতদিন বাঁচবেন, কিন্তু যতদিন বাঁচবেন একে অপরের জন্য বাঁচতে চান দুজনে। কে বলে মানুষ ভালবাসতে ভুলে গিয়েছে?

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here