নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ
এক কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আটক করা হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রকে। দীর্ঘদিন ধরে বি এ দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে কটূক্তি করে জ্বালাতন করত এক স্কুল পড়ুয়া বলে জানা গিয়েছে। গতকাল রাত্রেও নানান অছিলায় মেয়েটিকে জ্বালাতন করতেও দেখেছেন প্রতিবেশীরা। তারপর সকালে ওই মেয়েটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। মৃত ছাত্রীর নাম সিমা খাতুন (২০)।
আজ সকালে ১০ টা নাগাদ বাড়িতে কেউ না থাকায় ঐ কলেজ ছাত্রীকে মেরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাশের বাড়ির এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম মোশারফ সেখ। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সালার থানার রায়গ্ৰামে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সিমাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করতো ছেলেটি। সিমার মা তার বাপের বাড়ি সালার থানার অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণখন্ড গ্রামে গিয়েছিল। সিমার বাবা দর্জির কাজ করেন সে কারণে কর্মস্থলেই ছিলেন তিনি। ওই সময় বাড়িতে তাকে একা পেয়ে প্রথমে মেরে তারপর তার গলায় ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মৃতদেহ উদ্ধারের সময় শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন থাকায় অনুমান, মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে সিমাকে। সালার মোজাফফর আহমেদ কলেজের ছাত্রী ছিল সিমা খাতুন।
আরও পড়ুনঃ ভস্মীভূত ১৫৬ বছরের স্মৃতিবিজড়িত মিষ্টির দোকান
বাড়ি থেকে আওয়াজ পেয়ে প্রতিবেশীরা কিছুক্ষণ পর এসে ঝুলন্ত অবস্থায় সিমাকে দেখে। তবে সেখানে অন্য কাউকে পায়নি দেখতে। সালার থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। পরিবারের লোকেরা সালার থানায় মোশারফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মোশারফ সেখ ও তার পিতা জাহাঙ্গীর সেখকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সালার থানার পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584