শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
স্কুটির চাকায় হাওয়া দিতে অস্বীকার করায় বেশ কয়েকজন যুবকের হাতে রীতিমত নিগৃহীত হয়েছিল এক ব্যক্তিকে। ওই যুবকেরা তাকে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেছিলেন বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির ৬ দিনের মাথায় মৃত্যু হল রামপ্রসাদ হালদার ওই ব্যবসায়ীর। মলয় পাত্র নামে অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেফতার করা হলেও বাকি তিন জন এখনও পলাতক।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১২ জুন কসবার বি বি চ্যাটার্জি রোডে রামপ্রসাদ হালদারের দোকানে বেলা তিনটের সময় একটি স্কুটির চাকায় হাওয়া দিতে আসেন অভিযুক্তরা।
সেই সময়ে দোকান বন্ধ করছিলেন রামপ্রসাদ। সেই কারণে হাওয়া দিতে অস্বীকার করেন তিনি। এরপরে ওই যুবকদের সঙ্গে বচসা ও হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। রামপ্রসাদের ছেলে আশিস হালদারকেও মারধর করে অভিযুক্তরা। দোকানে থাকা হাতুড়ি এবং সাইকেলের রিং দিয়ে বাবা ছেলেকে ব্যাপক মারধর করা হয়।
আরও পড়ুনঃ পিটিএস থেকে বদলি আরও ২৫ কলকাতা পুলিশকর্মী
এরপরেই অভিযুক্তেরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে রামপ্রসাদকে রুবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। ১৬ জুন রামপ্রসাদের অস্ত্রোপচার করে ছেড়েও দেওয়া হয়।
কিন্তু হঠাৎ শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবারই রামপ্রসাদকে এসএসকেএম হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই তিনি মারা যান। এরপরেই বৃহস্পতিবার রাতেই মলয় পাত্র নামে এক অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ চিনের প্রেসিডেন্টের কুশপুতুল দাহ করে, তিনদিনের মাথায় শ্রাদ্ধ করলো বিজেপি
অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে, কসবা থানায় আগেই অভিযোগ করেছিলেন ছেলে আশিস হালদার। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি।
উল্টে তাঁরা বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু রামপ্রসাদবাবু মারা যাওয়ার পরে খুনের ধারা যোগ করে তদন্তে তৎপরতা শুরু হয়েছে। যদিও এই নিয়ে মন্তব্যে নারাজ ঘটনার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত পুলিশ অফিসাররা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584