শুভশ্রী মৈত্র, ওয়েব ডেস্কঃ
পূর্ব বর্ধমানে খুন ও টাকা লুঠের অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি নেতাও তাঁর দুই সাকরেদ। বিজেপির দাবি, দলের নেতাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। তৃণমূলের পাল্টা মন্তব্য, এই গ্রেফতারের প্রতিফলন হবে ভোটে।

ক্ষমতায় এলে ‘সোনার বাংলা’ গড়বে বিজেপি, এই স্লোগানকে হাতিয়ার করেই ভোট যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মোদি-শাহ সহ বিজেপির সব শীর্ষ নেতৃত্ব। ভোট একেবারে দোরগোড়ায়, ঠিক এই সময়ই বাড়িতে ঢুকে টাকা লুঠ ও এক বৃদ্ধকে খুনের অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের রায়নার এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম জয়ন্ত সাঁতরা। জয়ন্ত সাঁতরা নামের এই বিজেপি নেতার দুই শাকরেদ সিরাজুল হক মণ্ডল ও গৌতম মণ্ডল নামে ২ দুষ্কৃতীকেও একই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় রায়নার পোস্ট অফিস পাড়ার বাসিন্দা জীবনকানাই সেনগুপ্তের বাড়িতে টাকা লুঠ করার উদ্দেশ্যে ঢোকেন ওই বিজেপি নেতা ও তাঁর ২ সঙ্গী, এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। বৃদ্ধ বাধা দিতে গেলে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার ৯ দিনের মাথায় মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর থেকে অভিযুক্ত বিজেপি নেতার এক সঙ্গী সিরাজুল হক মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের জেরার মুখে বাকি দুই অভিযুক্ত অর্থাৎ বিজেপি নেতা জয়ন্ত সাঁতরা ও তাঁর আরেক সঙ্গী গৌতম মণ্ডলের যুক্ত থাকার কথা জানায় সিরাজুল। বর্ধমান থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতা জয়ন্ত সাঁতরা ও গৌতম মন্ডলকে।
আরও পড়ুনঃ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ! নেতা নয়, সরকারি আধিকারিকদের রাখতে হবে পুর প্রশাসক মণ্ডলীতে
পুলিশের দাবি, খুনের কথা স্বীকার করেছে ধৃত তিনজন। স্বাভাবিকভাবেই, ভোটের মুখে খুন ও লুঠের অভিযোগে বিজেপি নেতা গ্রেফতারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শুরু হয়েছে ব্যাপক তৃণমূল-বিজেপি তরজা। অস্বস্তিতে স্থানীয় বিজেপিও।
আরও পড়ুনঃ যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের চেষ্টায় খোয়া গেল পুরুষাঙ্গ
বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সম্পাদক শ্যামল রায়ের দাবি, ‘জয়ন্ত সাঁতরা আমাদের বর্ধমান উত্তর বিধানসভা শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করুক। তদন্তে আমরা কোনও হস্তক্ষেপ করব না তবে, নির্বাচনকে সামনে রেখে এটা তৃণমূলের চক্রান্ত কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ, খুন হয়েছে রায়নাতে, গ্রেফতার করা হচ্ছে বর্ধমান উত্তর বিধানসভা এলাকা থেকে। জয়ন্ত সাঁতরার দায়িত্বে ৫-৬টি বুথ আছে। তা মাথায় রেখেই তৃণমূল চক্রান্ত করেছে কিনা সেটা বড় প্রশ্ন।’
অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘বিজেপি নেতা ডাকাতি করে খুন করে চলে এল। এরা আবার বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বলছে। এর বিচার করবেন বাংলার মানুষ । আইন আইনের পথেই চলবে।’
উল্লেখ্য, পঞ্চম দফায় ১৭ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের ৮ কেন্দ্রে ভোট, যার মধ্যে রয়েছে রায়না কেন্দ্রটিও। খুনের অভিযোগে বিজেপি নেতার গ্রেফতারের ঘটনা ভোটে কতটা প্রভাব ফেলে এখন সেটাই দেখার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584